Saturday

খালেদা জিয়া অবরুদ্ধ !


বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে তাঁর গুলশানের বাড়ীতে কার্যত অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন দলের একজন নেতা হান্নান শাহ।শুক্রবার রাত থেকে বেশ কয়েক দল ইউনিফর্মধারী এবং সাদা পোশাকের পুলিশ গুলশানে খালেদা জিয়ার বাড়ির আশে-পাশে অবস্থান নেয়।বিএনপি নেতা হান্নান শাহ বলেন, বলতে গেলে উনি (খালেদা জিয়া) অবরুদ্ধ হয়ে আছেন। স্বাধীন দেশের একজন নাগরিককে এভাবে অবরুদ্ধ করে রাখা যায় কি না বাংলাদেশের জনগণ সেটা বিবেচনা করবে।বিএনপির আরেক নেতা অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজউদ্দীন আহমেদ বিবিসির বাংলাদেশ সংলাপ অনুষ্ঠানে আশংকা প্রকাশ করেন যে খালেদা জিয়াকে যে কোন সময় গ্রেফতার করা হতে পারে।তিনি বলেন, এই মূহুর্তে খালেদা জিয়ার বাড়ী পুলিশ ঘিরে রেখেছে। যে কোন সময় তাঁকে গ্রেফতার করা যেতে পারে।তিনি প্রশ্ন করেন, এরকম এক পরিস্থিতিতে নির্বাচনকালীন সরকার প্রশ্নে সংলাপ কিভাবে হতে পারে।জানা গেছে, খালেদা জিয়ার বাড়ীর কাছাকাছি এলাকায় শুক্রবার রাত থেকেই স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি নিরাপত্তা চোখে পড়েছে। শনিবার তাঁর বাসভবনের আশে-পাশের রাস্তায় বেশ কয়েক গাড়ী র্যাব সদস্য মোতায়েন করা হয়। এদের মধ্যে একদল মহিলা সদস্যও ছিলেন।পরে অবশ্য র্যাব সদস্যদের সরিয়ে নেয়া হয়।তবে প্রতিদিনের মতো সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরা বাড়ীর গেটে এবং আশে-পাশে নজরদারি চালিয়ে যাচ্ছেন।পুলিশ কর্মকর্তারা স্থানীয় গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই এই বাড়তি পাহারার ব্যবস্থা করা হয়েছে।কিন্তু বিএনপি নেতারা বিষয়টিকে ভিন্ন আলোকে দেখছেন। শুক্রবার খালেদা জিয়ার গুলশানের এই বাড়ীতে থেকে বেরিয়ে আসার পরপরই তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা শিমুল বিশ্বাস এবং দলের নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টুকে গ্রেফতার করা হয়।বিএনপি নেতাদের অনেকেই গ্রেফতার এড়াতে আর এই বাড়ীর আশে-পাশে যাচ্ছেন না বলে দলের সূত্রগুলো নিশ্চিত করেছে।খালেদা জিয়ার প্রেস উইং এর একজন কর্মকর্তা জানান, শনিবার পরিবারের কয়েকজন সদস্য খালেদা জিয়ার গুলশানের বাড়ীতে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেছেন। এছাড়া ব্যক্তিগত কর্মকর্তারাও বাড়ীতে আসা-যাওয়া করতে পারছেন। সূত্র: বিবিসি।

Friday

খালেদা জিয়াকে গ্রেফতারের প্রশ্নে নিরব স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী


স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, হরতালে মানুষ খুন এবং খুনের পরিকল্পনায় জড়িত থাকায় দায়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, রফিকুল ইসলাম মিঞা ও এম কে আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হবে কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে কোনপ্রকার মন্তব্য না করে নিরব থাকেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।শুক্রবার রাতে এক প্রতিক্রিয়ায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এর আগে আমি সংসদেও বলেছিলাম, যাঁদের কারণে এই নিরীহ লোকজন হরতালে আহত বা নিহত হবে, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেন, সারা সপ্তাহজুড়ে হরতাল ডেকে যাঁরা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করবেন, মানুষের জান-মালের ক্ষতি করবেন, তাঁদের বিচার তো হতেই হবে।বিএনপির চেয়ারপারসন ও বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করা হবে কি না জানতে চাইলে তিনি এখনই কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।গত বুধবার সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছিলেন, যাঁরা হরতাল করে নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করবে, তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। একই সঙ্গে ওই ব্যক্তিদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা হবে।

গ্রেফতার আতঙ্কে বিএনপি নেতারা: বাসায় বাসায় অভিযান


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া এবং এম কে আনোয়ারকে আটকের খবরে গ্রেফতার আতঙ্কে বিরাজ করছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বদের মধ্যে।দলের শীর্ষ, মধ্যম এবং নিচের সারির নেতারা এরই মধ্যে গা ঢাকা দিয়েছেন। গ্রেফতার এড়াতে প্রায় সবার মোবাইল ফোনই বন্দ করে দিয়েছেন তারা।এদিকে বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ। সন্দেহভাজনদের তল্লাশি শুরু করেছে। দুটি কার্যালয়েরই আশেপাশে সাদা পোশাকের পুলিশও সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। মূলত নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ফের ৭২ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচির ঘোষণার পরই এ্যকাশনে যায় পুলিশ।দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং গয়েশ্বর চন্দ্রের বাসায়ও পুলিশ হানা দেয়। তবে তাদেরকে বাসায় না পেয়ে ফিরে যায় পুলিশ। এ খবর দ্রুত নেতাকর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার পর শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে ঢাকা মহানগর নেতারাও যোগাযোগ সীমিত করে দিয়েছেন। বন্ধ করে দিয়েছেন তাদের একাধিক মোবাইল ফোন।নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালা ঝুলিয়ে ভিতরে অবস্থান করছেন কার্যালয় রক্ষনাবেক্ষনে নিয়োজিত কর্মচারীরা। তারাও রয়েছেন চরম আতঙ্কে। একই অবস্থা গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়েওশুক্রবার রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলের সামনে থেকে রাত ৮টা ১০ মিনিটে সাদা পোশাকধারী ডিবি পুলিশ মওদুদ আহমদকে আটক করে। জানা গেছে, সোনারগাঁ হোটেলে প্রথম আলোর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। অনুষ্ঠান শেষে বের হলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তার শেষে এই নেতাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।এর কিছুক্ষণ পর বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য এমকে আনোয়ারকে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের নিজ বাস ভবন থেকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। একইভাবে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকেও বাংলামোটরে অবস্থিত নিজ বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে।এদিকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে রাতে এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের জানিয়েছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে যে কাউকে গ্রেফতার করতে পারে আইনশৃঙ্খরা বাহিনী।শুক্রবার বিকেলে ১৮ দলীয় জোটের মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার থেকে টানা ৩দিনের (৭২ ঘন্টা) হরতাল ডাকেন। এরপর থেকে সন্ধ্যা ৬টার পরই কার্যালয় দুটির আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেয় অতিরিক্ত পুলিশ।

শীর্ষ তিন নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে রাজধানীর বিভিন্নস্থানে আগুন


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদসহ শীর্ষ তিন নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে রাজধানীর বিভিন্নস্থানে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।শুক্রবার রাতে শীর্ষ তিন নেতাকে গ্রেফতারের পর রাজধানীর মিরপুর, বিজয়নগর, ফ্রামগেট, সাত রাস্তারমোড়ে ৪ টি গাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। তবে এসব ঘটনায় কেউ আহত না হলেও পুরো এলাকায় আকঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে। এসব ঘটনায় রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে আওয়ামী লীগ : জয়


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তনয় সজীব ওয়াজেদ জয় বলেছেন, এমন কোন কাজ নেই যা আওয়ামী লীগ করতে পারে না। আওয়ামী লীগ সব অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারে। এর প্রমাণ বাংলাদেশে আছে।তিনি শুক্রবার রাতে সিলেটে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। তিনি বিরোধীদলের প্রতি হরতাল প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে বলেন, আপনারা একদিকে বলছেন- আমরা সংলাপ চাই, অন্যদিকে হরতাল দিয়ে সন্ত্রাস ও নৈরাজ্য করছেন। এটা হতে পারে না। হরতাল ও সংলাপ একসাথে চলতে পারে না। তাই হরতাল প্রত্যাহার করে বিএনপিকে আলোচনায় আসার আহ্বান জানান জয়।তিনি বলেন, বাংলার মানুষ বোকা নয়, আর আওয়ামী লীগকে ততো অযোগ্য ভাববেন না, মিথ্যাচার কিভাবে মোকাবিলা করতে হয়- তা আমাদের জানা আছে।জয় বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী আমরা মা শেখ হাসিনা সবদলকে নিয়ে আলোচনা করে নির্বাচনকালীন সাংবিধানিক সরকার গঠনের আহ্বান জানিয়েছেন। অনেক দলের সাথে আলোচনা হয়েছে। বিরোধীদলীয় নেত্রীকে তিনি নিজে (প্রধানমন্ত্রী) ফোন করে আলোচনার আহ্বান করলেন। কিন্তু জাতি দেখেছে- তিনি কিভাবে মিথ্যাচার করেছেন। দেশের একজন প্রধানমন্ত্রীর সাথে কেমন আচরণ করেছেন।তিনি আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ আবার নির্বাচিত হবে বলে আশা প্রকাশ করে বলেন, দেশের মানুষ দেখেছে আওয়ামী লীগের সময়ে কেমন উন্নয়ন হয়, আর বিএনপি-জামায়াত জোটের সময়ে কেমন দুর্নীতি, সন্ত্রাস হয়। তাই বিরোধী দল আগামী নির্বাচন বানচাল করতে চাচ্ছে।

শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিভিন্ন জেলায় সংঘর্ষ


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার ও ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া গ্রেফতারের প্রতিবাদে দেশের বিভিন্ন জেলায় হরতাল ও গাড়ি ভাঙচুর করেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট।

ঢাকা:
শুক্রবার রাতে শীর্ষ তিন নেতাকে গ্রেফতারের পর রাজধানীর মিরপুর, বিজয়নগর, ফ্রামগেট, সাত রাস্তারমোড়ে ৪ টি গাড়িতে আগুন দেয় দুর্বৃত্তরা। তবে এসব ঘটনায় কেউ আহত না হলেও পুরো এলাকায় আকঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে। এসব ঘটনায় রাজধানীজুড়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম : 
ঢাকায় বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতাদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে চট্টগ্রামের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে গাড়ি ভাঙচুর ও বেশ কয়েকটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে ১৮ দলের নেতা-কর্মীরা। রাত সাড়ে ১০টার পর থেকে সীতাকুন্ড উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অন্তত শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করেছে বিক্ষুব্ধ নেতা-কর্মীরা। এ এনিয়ে উপজেলা সদরে পুলিশের সাথে সংর্ঘষ চলছে। পুলিশ নেতা-কর্মীদের লক্ষ্য করে গুলি ও টিয়ার সেল নিক্ষেপ করছে। এতে অন্তত ২০ জনের মত আহত হয়েছে।
অপর দিকে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা এলাকায় ব্যাপক ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। মহাসড়কের কুমিরা, বাড়বকুন্ড, বারআউলিয়া ও উপজেলা সদরসহ ৪ জায়গায় সড়কের ওপর এলোপাতাড়ি গাড়ি ফেলে অবরোধ করার ফলে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রতক্ষ্যদর্শীরা জানান, রাত ১০টার পর শত শত নেতাকর্মীরা রাস্তায় বিক্ষোভ শুরু করে। তারা কুমিরা, বাড়বকুন্ড, সীতাকুন্ড সদর, সীতাকুন্ড বাইপাসহ কয়েকটি এলাকায় একযোগে মহাসড়কে গাড়ি ভাঙচুর করে। রাত পৌনে ১১টার দিকে উপজেলা সদর ও হাসান গোমস্তা কবরাস্থান এবং বাড়বকুন্ড এলাকায় অন্তত ৮টি গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে। বাড়বকুন্ড স্কুলে সামনে রাত ১১টায় একটি মালবোঝাই ট্রাক রাস্তার পার্শ্বে পড়ে গেলে তাতে আগুন ধরিয়ে দেয় ১৮ দলের কর্মীরা।

সীতাকুন্ড:
এদিকে সীতাকুন্ড সদরে পুলিশের সাথে ১৮ দলের কর্মীদের সংর্ঘষ ছড়িয়ে হয়েছে। এসময় পুলিশ ব্যাপক গুলি চালায়। মাদামবিবির হাট এলাকায় বিএনপিকর্মীরা গাড়ি ভাঙচুর করলে পুলিশের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।

কুমিল্লা: 
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এমকে আনোয়ারসহ শীর্ষ ৩ নেতার গ্রেফতারের প্রতিবাদে শনিবার তার সংসদীয় এলাকা কুমিল্লার হোমনা ও তিতাস উপজেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপি। কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আক্তারুজ্জামান জানান, এম কে আনোয়ারকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে এবং মুক্তির দাবিতে এ হরতাল ডাকা হয়েছে। এদিকে শুক্রবার রাতে হোমনা বিএনপি উপজেলা সদরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে।

নোয়াখালী: 
নোয়াখালীর কবিরহাট এবং কোম্পানীগঞ্জে ও কুমিল্লার হোমনা ও তিতাসে শনিবার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল ডেকেছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদসহ শীর্ষ তিন নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে এ হরতালের ডাক  দেওয়া হয় । এদিকে রাত ৮ টার দিকে মওদুদসহ বিএনপির  শীর্ষ তিন নেতাকে গ্রেফতারের প্রতিবাদে জেলার মাইজদীতে মওদুদের নির্বাচনী এলাকায় তাৎক্ষণিক মিছিল করেছে স্থানীয় বিএনপি। মিছিল শেষে বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করেছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা:
ঢাকায় কেন্দ্রীয় নেতাদের আটকের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গায় জেলা বিএনপি শুক্রবার রাতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মিছিলটি কেদারগঞ্জের দলীয় কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে শহীদ হাসান চত্বরে এসে শেষ হয়। মিছিলে নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হাসান ইমাম বকুল। মিছিল চলাকালে পুলিশ কড়া প্রহরায় মিছিলটিকে ঘিরে রাখে। এছাড়াও জীবননগর, দামুড়হুদা, দর্শনা ও আলমডাঙ্গায়ও মিছিল করেছে বিএনপি নেতারা।

কারওয়ানবাজারে গাড়িতে আগুন


শুক্রবার রাত সোয়া ১১টার দিকে কারওয়ানবাজার থেকে পান্থপথের দিকে যাওয়ার মোড়ে এ ঘটনা ঘটে বলে তেজগাঁও পুলিশের উপ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার জানান।ফায়ার ব্রিগেড নিয়ন্ত্রণ কক্ষের দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানান, খবর পেয়ে অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা ঘটনাস্থলে গেছেন।কারা এ ঘটনা ঘটিয়েছে, সে বিষয়ে কিছু বলতে পারেনি পুলিশ।এর ঘণ্টা তিনেক আগে হোটেল সোনারগাঁওয়ের সামনে থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার ও রফিকুল ইসলাম মিয়াকে আটক করে পুলিশ।এর প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি বলেছে, তিন নেতাকে অবিলম্বে মুক্তি না দিলে রবি থেকে মঙ্গলবার ঘোষিত ৭২ ঘণ্টার হরতাল আরো দীর্ঘায়িত হবে।

তিন নেতাকে মুক্তি না দিলে ৭২ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি আরো দীর্ঘায়িত হবে বলে হুমকি দিয়েছে বিএনপি।



শুক্রবার রাত ১০টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “স্বৈরাচারী সরকার একতরফা প্রহসনের নির্বাচন করার জন্য দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তার করেছে। এই মুহূর্তে তাদের মুক্তি দিন। নইলে আমাদের ঘোষিত ৭২ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি আরো জোরদার করা হবে, বৃদ্ধি পাবে।”বিকালে গুলশানে ১৮ দলীয় জোটের বৈঠক শেষে রবি থেকে মঙ্গলবার ৭২ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।   এর পরপরই গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ের আশেপাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতয়েন করা হয়।রাত সোয়া ৮টার দিকে কারওয়ান বাজারে একটি অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে আটক হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার ও রফিকুল ইসলাম মিয়া।তদের মিন্টো রোডের গেয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে রাখা হয়েছে বলে পুলিশ কমকর্তারা জানিয়েছেন।তিন নেতা গ্রেপ্তার হওয়ার হওয়ার দুই ঘণ্টার মাথায় সংবাদ সম্মেলন করে রিজভী বলেন, “জ্যেষ্ঠ নেতাদের এভাবে গ্রেপ্তার সরকারের স্বেচ্ছাচারী অপরিনামদর্শী সিদ্ধান্ত। আমরা এর নিন্দা জানাই।”এই তিন নেতাকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি উত্তরায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকারের বাসায়, শাজাহানপুরে মির্জা আব্বাস, পুরান ঢাকায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ধানমন্ডিতে ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক নাসিরউদ্দিন অসীমের বাসায় পুলিশ  ‘হানা’ দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, “সরকার গণবিচ্ছিন্ন হয়ে এখন ৯০ ভাগ জনগনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা পতনের আগে মরণ কামড় দিচ্ছে।“আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই,  জ্যেষ্ঠ নেতাদের এভাবে গ্রেপ্তার করে নির্দলীয় সরকারের আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না।”বিরোধী দলকে দমন করার জন্যই গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় ও নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পুলিশ ‘অবরুদ্ধ’ করে রেখেছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব।রিজভী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আধিপত্যবাদী শক্তির দোসর ও সেবাদাস হিসেবে কাজ করছেন।’’৭২ ঘণ্টার হরতাল সফল করার জন্য দলের নেতা-কর্মী ও দেশবাসীকে রাস্তায় নেমে আসারও আহবান জানান তিনি।

খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় - বাসা ঘিরে রেখেছে পুলিশ


বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় এবং বাসা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ফের ৭২ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচির ঘোষণার পরই কার্যালয় ঘিরে ফেলে পুলিশ তল্লাশি শুরু করেছে।কার্যালয়ের আশেপাশে অনেক সাদা পোশাকের পুলিশও ঘোরাফেরা করছে। কার্যালয় থেকে কাউকে বের হতে বা ঢুকতে দিচ্ছে না পুলিশ।এর আগে শুক্রবার বিকেলে ১৮ দলীয় জোটের মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৭২ ঘণ্টা হরতালের ঘোষণা দেন। ঘোষণা শেষে জোটের নেতাকর্মী ও সংবাদ কর্মীরা গুলশান কার্যলয় ত্যাগ করেন। একটু পরে মাগরিবের আজানের পর পরই কার্যালয় এলাকায় অবস্থান নেয় অতিরিক্ত পুলিশ। এরপর তারা কার্যালয়ে ঠিক বিপরীতে এবং আশাপাশে অবস্থান নেয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত গুলশান কার্যালয়ে, চেয়ারপরসনের প্রেসচিব মারুফ কামাল খান সোহেল, চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সহদপ্তর কৃষিবীদ শামীমুর রহমান শামীম, চেয়ারপরসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির খান, গুলশান অফিসের কর্মকর্তা ইনিঞ্জনিয়র জসিমউদ্দিনসহ অফিস স্টাফরা কার্যালয়ের ভেতরে অবস্থান করছেন।তবে পুলিশের দাবি, বিরোধীদলীয় নেতার ‘নিরাপত্তার স্বার্থেই’ অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।মহানগর পুলিশের গুলশান জোনের সহকারী কমিশনার নুরুল আমীন বাড়তি পুলিশ মোতায়েনের বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘বিরোধীদলীয় নেতার নিরাপত্তার স্বার্থেই এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।’উল্লেখ্য ইতিমধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিঞা ও এম কে আনোয়ারকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। শুক্রবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।রাত ৮টা ১০ মিনিটে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে বাসায় ফেরার পথে রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে  নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তথ্য ও জনসংযোগ শাখার সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আবু ইউসুফ।এদিকে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড থেকে এম কে আনোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়।আবু ইউসুফ বলেন, গ্রেফতারকৃত বিএনপি নেতাদের রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে কোন মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানাতে পারেননি।

কাল পদত্যাগ করছেন সুরঞ্জিত


আগামীকাল শনিবার মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দেবেন দপ্তরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।আজ শুক্রবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় খাজা নিজামুদ্দিন মিলনায়তনে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত সর্বদলীয় সরকার গঠনে সহায়তা করতেই পর্যায়ক্রমে সব মন্ত্রীরাই পদত্যাগ করবেন। এরই অংশ হিসেবে আমি পদত্যাগপত্র জমা দেব।’আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, বিরোধী দল কোন কোন মন্ত্রণালয় চায় সেটা সর্বদলীয় সরকার গঠনের আগেই বলতে হবে। তা না হলে তাদেরকে আর অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব হবে না।গত বুধবার রাতে প্রথম পদত্যাগপত্র জমা দেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী এ বি তাজুল ইসলাম। দুই-এক দিনের মধ্যে দেবেন যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।একজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী গতকাল প্রথম আলোকে জানান, বর্তমান মন্ত্রিসভার ৫২ সদস্যের অধিকাংশই ১৪ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শ্রীলঙ্কা সফরের আগে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। তবে নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকারে নিশ্চিতভাবে থাকবেন—এমন তিন-চারজন মন্ত্রী পদত্যাগ নাও করতে পারেন।পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পরও পদে বহাল আছেন জানিয়ে এ বি তাজুল ইসলাম বলেন, পদত্যাগপত্রগুলো রাষ্ট্রপতির কাছে উপস্থাপনের আগ পর্যন্ত সবাই পদে বহাল থাকবে।সংবিধান অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করার জন্য কোনো মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী কিংবা উপমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিলেই তাঁর পদ শূন্য বলে বিবেচিত হবে।এদিকে প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করছেন না বলে তাঁর উপদেষ্টাদের পদ থাকছে। জানতে চাইলে একজন উপদেষ্টা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, প্রধানমন্ত্রী চাইলে যেকোনো সময় উপদেষ্টাকে বাদ দিতে পারেন। কিন্তু তাঁদের এখনো পদত্যাগ করতে বলেননি প্রধানমন্ত্রী। বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর ছয়জন উপদেষ্টা রয়েছেন।

রোববার থেকে ৭২ ঘণ্টার হরতাল


নির্দলীয় সরকারের দাবিতে দুই দফায় ৬০ ঘণ্টার হরতাল শেষে এবার ৭২ ঘণ্টার হরতাল আহ্বান করেছে ১৮ দলীয় জোট। আগামী রোববার থেকে বুধবার সকাল ছয়টা পর্যন্ত এ হরতাল আহ্বান করা হয়েছে।শুক্রবার বিকেল ৩টা ৫০ মিনিটে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৮ দলীয় জোটের মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলন থেকে হরতালের এ ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।আর এই হরতাল ঘোষনার পরপরই গ্রেফতার হয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিঞা ও এম কে আনোয়ার। শুক্রবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।রাত ৮টা ১০ মিনিটে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে বাসায় ফেরার পথে রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে  নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তথ্য ও জনসংযোগ শাখার সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আবু ইউসুফ।এদিকে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড থেকে এম কে আনোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়।আবু ইউসুফ বলেন, গ্রেফতারকৃত বিএনপি নেতাদের রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে কোন মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানাতে পারেননি।

ছাগলের অধীনে নির্বাচনে রাজী আছি, কিন্তু শেখ হাসিনার অধীনে নয়


বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ছাগলের অধীনে নির্বাচনে রাজী আছি, কিন্তু শেখ হাসিনার অধীনে নয়। তিনি বলেন, বাংলার মাটিতে ভোট ছিনতাইয়ের দিন শেষ। আর কাউকে ভোট ছিনতাই করতে দেয়া হবে না। শুক্রবার বিকেলে শহরের ডিআইটি বাণিজ্যিক এলাকায় কৃষক-শ্রমিক-জনতা লীগ আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। নাসিক মেয়র ডা: সেলিনা হায়াৎ আইভীর প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে নারায়ণগঞ্জের সাধারণ মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জয় লাভ করায় আইভীকে ধন্যবাদ জানাই। কিন্তু নির্বাচনে জয়লাভের পর যার কারণে সে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হলো তাকে (শামীম ওসমানকে) সঙ্গে করে নিয়ে গিয়ে শেখ হাসিনার পা ছুঁয়ে সালাম করায় তার প্রতি ঘৃণা প্রকাশ করছি। সংগঠনের জেলা কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম দেলোয়ারের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীর প্রতীক, যুগ্ম সম্পাদক ইকবাল সিদ্দিকী, জেলা কমিটির সহসভাপতি সালাহ উদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু বকর সিদ্দিক, মতিউর রহমান, ডালিম হোসেন, সোলায়মান শরীফ প্রমুখ।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিঞা ও এম কে আনোয়ারকে গ্রেফতার


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিঞা ও এম কে আনোয়ারকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। শুক্রবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থান থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।রাত ৮টা ১০ মিনিটে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদকে বাসায় ফেরার পথে রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলের সামনে থেকে গ্রেফতার করা হয় বলে  নিশ্চিত করেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তথ্য ও জনসংযোগ শাখার সহকারী কমিশনার (এসি) মো. আবু ইউসুফ।এদিকে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোড থেকে এম কে আনোয়ারকে গ্রেফতার করা হয়।আবু ইউসুফ বলেন, গ্রেফতারকৃত বিএনপি নেতাদের রাজধানীর মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তবে কোন মামলায় তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে সে বিষয়ে তিনি কিছুই জানাতে পারেননি।

Thursday

কুমিল্লায় কাভার্ডভ্যান চাপায় শালি-দুলাভাই নিহত


ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার বুড়িচংয়ে কাভার্ডভ্যানের চাপায় ২জন নিহত হয়েছে যারা সম্পর্কে শালী দুলাভাই। নিহতরা হলো দাউদকান্দি উপজেলার জসিম উদ্দিনের মেয়ের জামাতা নাজমুল হক (৪৫) ও মেয়ে তাহমিনা সুলতানা (২৪)।  শুক্রবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে মহাসড়কের নিমসার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।চট্টগ্রামগামী একটি কাভার্ডভ্যান দাউদকান্দি থেকে কুমিল্লাগামী একটি মোটর সাইকেলকে চাপা দিলে মোটর সাইকেলচালক নাজুমল হক ও তার আরোহী তাহমিনা কাভার্ডভ্যান চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায়। ঘাতক কার্ভাডভ্যানটিকে আটক করা হয়েছে এবং নিহতদের লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আশা হয়েছে। তারা দু’জন সম্পর্কে শালি-দুলাভাই বলে জানা গেছে। 

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৫০ কি.মি এলাকায় যানজট


ট্রাক বিকল হয়ে পড়ায় ও অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে কুমিল্লার দাউদকান্দি থেকে ময়নামতির নাজিরাবাজার পর্যন্ত ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দুইটা থেকে এ যানজটের সূত্রপাত। এর ফলে যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।তবে সকাল সাড়ে নয়টায় এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত যানবাহনগুলো থেমে থেমে চলতে শুরু করছে।হাইওয়ে পুলিশ, যানবাহনের যাত্রী ও চালকেরা জানান, রাত দুইটার দিকে চান্দিনা উপজেলার নাওতলা নামক এলাকায় ঢাকাগামী একটি ট্রাক বিকল হয়ে পড়লে যানজটের শুরু হয়। কিন্তু আধা ঘণ্টার মধ্যে বিকল ট্রাকটি সরিয়ে নেওয়া হলেও এরই মধ্যে মহাসড়কের দাউদকান্দির গৌরীপুর থেকে চান্দিনার মাধাইয়া পর্যন্ত ১৮ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। বেলা বাড়ার সঙ্গে যানজটে আটকে পড়া যানবাহনের সারি আরও দীর্ঘ হতে থাকে।আজ ঢাকায় পরিবহন ধর্মঘট থাকায় সেখান থেকে কোনো বাস ছেড়ে না গেলে গতকাল রাতে ছেড়ে যাওয়া বাস, ট্রাক ও কাভার্ডভ্যানগুলো এখনো যানজটে আটকা পড়ে আছে।এদিকে আজ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা থাকায় যানজটে আটকা পড়া পরীক্ষার্থীরা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন।এমনই একজন পরীক্ষার্থী দাউদকান্দির রোমা আক্তার, তিতাসের রাবেয়া আক্তার জানান, সকাল ছয়টায় কুমিল্লার উদ্দেশে রওয়ানা দিয়ে দাউদকান্দির গৌরীপুরে এসে যানজটে আটকা পড়েছেন। পরীক্ষায় বসতে পারবেন কি না, এ নিয়ে উদ্বিগ্ন তাঁরা।ইলিয়টগঞ্জ  হাইওয়ে পুলিশের সার্জেন্ট মো. হাসান বলেন,  আধা ঘণ্টার মধ্যে বিকল ট্রাকটি সরিয়ে নেওয়া হলেও তিনদিন হরতালের পর অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে এ যানজটের সৃষ্টি হয়।

নির্বাচনকে সামনে রেখে ভারত থেকে আসছে অস্ত্র


চাঁপাইনবাবগঞ্জ সীমান্ত দিয়ে দেশে আসছে অবৈধ অস্ত্র। সংসদ নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক সহিংসতাকে ঘিরে এসব অস্ত্র আনা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এনিয়ে ক্ষমতাসীন ও বিরোধী দল পরস্পরকে দায়ী করছে। অন্যদিকে, আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় দিন কাটছে স্থানীয়দের। যদিও আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি, অবৈধ অস্ত্র ঠেকাতে তাদের তৎপরতা চলছে।চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে আসছে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি। এর বেশিরভাগই পিস্তল ও রিভলভারের মতো ছোট অস্ত্র। সীমান্ত রক্ষী বাহিনী- বিজিবির অভিযানে শুধু গতমাসেই উদ্ধার হয়েছে ১১টি পিস্তল। র‌্যাব ও পুলিশ অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে আরো আটটি পিস্তল। এ সময় অর্ধশতাধিক রাউন্ড গুলিও উদ্ধার হয়েছে। এছাড়া সীমান্ত দিয়ে দেশে আসার পর পরিবহণের সময় রাজশাহী, সিরাজগঞ্জ ও ঢাকা থেকেও উদ্ধার হয়েছে আরো কিছু অস্ত্র।অবৈধ অস্ত্রের ব্যাপারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতারা একে অন্যকে দোষারোপ করছেন। প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করতেই অবৈধ অস্ত্রের মজুদ গড়ে তোলা হচ্ছে বলেও অভিযোগ তাদের।স্থানীয়দের আশঙ্কা, সহজে অস্ত্র মেলায় আগামী নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক অস্থিরতা আরো বাড়তে পারে। ভেঙ্গে পড়তে পারে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি।আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র চোরাচালান বন্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবি স্থানীয়দের। এজন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে আরো কার্যকর ভূমিকা নেয়ার আহ্বান জানান তারা।

নোয়াখালীতে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৩ দস্যু নিহত

নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে ৩ দস্যু নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১২টার দিকে চারবাটা ইউনিয়নের আল-আমিন মৎস খামারের পূর্ব পাশে এ ঘটনা ঘটে।বন্দুকযুদ্ধে কালু নিহতরা হলেন বাহিনী প্রধান কালু (৪৫), তার সেকেন্ড-ইন-কমান্ড রিপন (৩৫) ও বডিগার্ড রুবেল (৩০)।বন্দুকযুদ্ধের পর পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একটি এলজি বন্দুক, ২ রাউন্ড গুলি ও রাইফেলের ৩ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে।নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) আনিসুর রহমান পিপিএম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, পুলিশে সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে তিন দস্যু নিহত হয়।সূবর্ণচর থানা পুলিশ জানায়, কালু বাহিনীর প্রধান কালু ও তার সহযোগীরা উপজেলার চরবাটা ইউনিয়নের আল-আমিন মৎস খামারের পূর্ব পাশে অবস্থান করছে। গোপন সূত্রে এমন খবর পেয়ে পুলিশ অভিযান চালায়।অভিযানের বিষয়টি টের পেয়ে দস্যুরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পুলিশও পাল্টা গুলি ছুড়ে। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে কালু বাহিনীর প্রধান কালু, তার সহযোগী রিপন ও রুবেল (৩০) ঘটনাস্থলেই মারা যায়।
সূবর্ণচর থানা পুলিশ আরও জানায়, নিহত দস্যু কালুর বিরুদ্ধে নোয়াখালীর বিভিন্ন থানায় দু’টি হত্যা মামলাসহ ১০টিরও বেশি মামলা রয়েছে।

এখনো আলোচনার কথা বলছেন দুই নেত্রী


দেশের মানুষ হতাশ হলেও এখনো আলোচনার কথা বলছেন দুই নেত্রী শেখ হাসিনা এবং বেগম খালেদা জিয়া৷ তবে শেখ হাসিনা সর্বদলীয় সরকারের নির্বাচনের দিকেই যাচ্ছেন৷ আর খালেদা জিয়া রয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকার আদায়ের আন্দোলনে৷ব্যবসায়ী প্রতিনিধিরা চলতি সপ্তাহে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকের পর বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন৷ সেখানে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আলোচনার পথ বন্ধ হয়নি৷ বিরোধী দলীয় নেতাকে দাওয়াত দেয়াই আছে৷ তাই তিনি চাইলে যে কোনো সময় আলোচনা বা সংলাপ হতে পারে৷ তবে বিরোধী দল শর্ত দিয়ে সংলাপের পরিবেশ নষ্ট করেছে৷ জানা যায়, বৈঠকে ব্যবসারয়ীর অতি দ্রুত মহাসচিব পর্যায়ে সংলাপ শুরুর তাগিদ দেন প্রধানমন্ত্রীকে৷ব্যবসায়ী নেতারা এর আগে খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠক করে আলোচনায় বসার আহ্বান জানান বিরোধী দলীয় নেত্রীকে৷ তাঁরা অন্তত মহাসচিব পর্যায়ে শর্তহীন সংলাপ করার অনুরোধ করেন খালেদা জিয়াকে, খবর এমনতরই৷খালেদা জিয়া বৃহস্পতিবার বিকেলে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে বলেন যে, তিনি আলোচনার জন্য এখনো প্রস্তুত আছেন৷ আর তারা নয়, সরকারই শর্ত দিয়ে আলোচনার পথ রুদ্ধ করেছে৷ তবে বিএনপি এখনো আলোচনা চায়৷ ব্যবসায়ীদের প্রস্তাব অনুযায়ী, বিএনপি মহাসচিব পর্যায়ে সংলাপের জন্য প্রস্তুত৷ তাই তিনি আশা করেন, সরকার সংলাপের পথে ফিরে আসবে৷কিন্তু সুশাসনের জন্য নাগরিক-সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার ডয়চে ভেলেকে বলেন, সংলাপ নিয়ে দুই নেত্রীই নাটক করছেন৷ কারণ কেউই তাদের অবস্থানের পরিবর্তন করেননি৷ কারোর মধ্যেই ছাড় দেয়ার মানসিকতা নেই৷প্রধানমন্ত্রী সর্বদলীয় সরকার আর বিরোধী দলীয় নেত্রী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অটল আছেন৷ এই মনোভাবের পরিবর্তন না হলে সংলাপ করেও কোনো লাভ হবে না৷ তিনি বলেন, এর আগেও বাংলাদেশের মানুষ মহাসচিব পর্যায়ে সংলাপ দেখেছে, যা থেকে কোনো ফল আাসেনি৷ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সবাই বিচার মানেন কিন্তু ‘তাল গাছের' দখল না ছেড়ে৷ একদল ক্ষমতা ধরে রাখতে চায় আর আরেক দল ক্ষমতায় যেতে চায়৷ এই চাওয়া বাস্তবায়নে তারা যার যার অবস্থান নিয়েছেন৷ দেশের মানুষের কথা তারা ভাবছেন না৷এদিকে যোগাযোগমন্ত্রী জানিয়েছেন, সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে৷ সোমবার মন্ত্রীরা পদত্যাগ পত্র জমা দেবেন প্রধানমন্ত্রীর কাছে৷ এরই মধ্যে কোনো কোনো মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগ-পত্র জমাও দিয়েছেন বলে জানান তিনি৷ ওবায়দুল কাদের জানান, তিনি নিজে পদত্যাগপত্র জমা দেবেন রোববার৷ওবায়দুল কাদের জানান, সর্বদলীয় সরকারের যারা থাকবেন তাদের পদত্যাগপত্র গৃহীত হবে না৷ ফলে নতুন করে তাদের আর শপথ নিতে হবে না৷ তবে যারা মন্ত্রিপরিষদের বাইরে থেকে সর্বদলীয় সরকারে যাবেন তাদের শপথ নিতে হবে৷ আর নির্বাচন হবে এই সর্বদলীয় সরকারের অধীনেই৷ সূত্র: ডিডব্লিউ

গুগল অ্যাডসেন্সের অর্থ সরাসরি ব্যাংকে



জনপ্রিয় বিজ্ঞাপনসেবা গুগল অ্যাডসেন্সের টাকা এবার সরাসরি বাংলাদেশের ব্যাংকে পাওয়া যাবে। সম্প্রতি গুগল অ্যাডসেন্স টিম এ তথ্য জানিয়েছে। বাংলাদেশের অ্যাডসেন্স প্রকাশকেরা এখন থেকে চেকের বদলে সহজে নিজের ব্যাংক হিসাবেই অ্যাডসেন্সের মাধ্যমে আয়ের অর্থ নিতে পারবেন। এর আগে কয়েক মাস ধরে দেশের অ্যাডসেন্সের প্রকাশকেরা চেকের মাধ্যমে ব্যাংক থেকে তাঁদের আয়ের অর্থ তোলার ক্ষেত্রে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছিলেন। এ বিষয়ে কয়েক মাস ধরে গুগলের সঙ্গে এ সমস্যার সমাধান করতে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। গুগল বাংলাদেশের কান্ট্রি কনসালট্যান্ট কাজী মনিরুল কবীর গতকাল বুধবার নিজের ফেসবুক স্ট্যাটাসে জানান, ‘বাংলাদেশি অ্যাডসেন্স প্রকাশকারীদের জন্য ওয়্যার ট্রান্সফারের মাধ্যমে নিজেদের আয়ের অর্থ তোলার পদ্ধতি চালু করেছে।’

আন্তর্জাতিক ওয়্যার ট্রান্সফার চেকের পরিবর্তে দ্রুত, সহজ ও নিরাপদ একটি মাধ্যম বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বর্তমানে অ্যাডসেন্স প্রকাশকেরা আগের পদ্ধতির জায়গায় নতুন পদ্ধতিতে অ্যাকাউন্ট হালনাগাদ করার মাধ্যমে এ সেবা পাবেন। যাঁরা এখনো নতুন এ পেমেন্ট পদ্ধতিতে যাননি কিন্তু অ্যাকাউন্টে ১০০ ডলারের বেশি জমা হয়েছে, তাঁরা নিজের অ্যাকাউন্ট হালনাগাদ করে চলতি মাস থেকেই এ সুবিধা পাবেন বলে জানা গেছে। ফলে চলতি মাস থেকেই চেকের পরিবর্তে অ্যাডসেন্সের অর্থ পাওয়া যাবে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্টেই। পেমেন্টের নতুন এ ওয়্যার ট্রান্সফারের ক্ষেত্রে গুগল বাড়তি কোনো খরচ নেবে না। এখন অ্যাডসেন্স প্রকাশকদের ব্যাংকে যোগাযোগ করে প্রাপ্ত তথ্য দিয়ে অ্যাডসেন্স অ্যাকাউন্টে লগ-ইন করে তথ্য সংযুক্ত করতে হবে। বাংলাদেশে অবস্থানরত অ্যাডসেন্স প্রকাশকেরা দেশীয় যেকোনো ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে এই সুবিধা পাবেন

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ অর্ন্তবর্তী সরকার প্রধান!


অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদকে নির্বাচনকালীন অন্তবর্তী সরকার প্রধানের দায়িত্ব দিয়ে নির্বাচনের আয়োজন করলে তাতে অংশ নেবে বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান হিসেবে ‘দল নিরপেক্ষ’ ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেয়ার প্রস্তাব ও দাবি জানানো হয়েছে। বিএনপির নীতিনির্ধারকদের উদ্যোগে ‘দল নিরপেক্ষ’ ব্যক্তিদের তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে। তালিকায় অন্যান্যের মধ্যে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের নাম আছে সবার উপরে। বরেণ্য এ শিক্ষাবিদকে নির্বাচনকালীন সরকার প্রধানের দায়িত্ব দেয়া হলে সব রাজনৈতিক দল মেনে নেবে বলে মনে করছেন বিএনপির নেতারা। বিএনপির একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান হিসেবে বিএনপির করা তালিকায় যাদের নাম আছে, তাদের কথা শীঘ্রই দলটির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে প্রস্তাব করা হবে।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ প্রসঙ্গে জানান, ‘আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, নিরপেক্ষ সরকার প্রধানের অধীনে ছাড়া আমরা নির্বাচনে অংশ নেব না। আলোচনা করে ঠিক করা যায়, কাকে দেয়া যায় নির্বাচনকালীন সরকার প্রধানের দায়িত্ব।’তথ্যমতে, সম্প্রতি এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির শীর্ষ নেতারা মিলিত হন। বৈঠকে তারা নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা, ওই সরকারের প্রধান কে হবেন, এসব বিষয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান হিসেবে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের নাম প্রস্তাব করা হয়।

বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাই থাকবেন নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান।’ ঢাকায় নিয়োজিত বিদেশি এক রাষ্ট্রদূতের উদ্যোগে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নিয়ে অনানুষ্ঠানিক ওই বৈঠকের আয়োজন হয়।শেখ হাসিনাকে অর্ন্তবর্তী সরকার প্রধান করতে চাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এ বিষয়ে বিরোধী দলের দাবিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত মহাজোট সরকার। আর বিএনপির নেতৃত্বে গঠিত ১৮ দলের জোটও দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানের জন্য রাষ্ট্রদূতের উদ্যেগে বৈঠকটির আয়োজন হয় বলে জানা যায়।উল্লেখ্য, গত ১৮ অক্টোবর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দেন। তাতে যোগ দেয়ার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে নামও আহবান করেন তিনি।প্রধানমন্ত্রীর সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাবের তিনদিনের মাথায় পাল্টা প্রস্তাব তুলে ধরেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া।বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রস্তাবে বলেন, ‘১৯৯৬ এবং ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারে থাকা ২০ উপদেষ্টার মধ্যে থেকে ১০ জনের সমন্বয়ে একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা যায়। ওই ২০ জন থেকে আওয়ামী লীগ পাঁচ জন এবং বিএনপি পাঁচ জনের নাম প্রস্তাব করবে। সর্বজন গ্রহণযোগ্য একজন ব্যক্তিকে ওই সরকারের প্রধান করা হবে। প্রয়োজনে তাদের এই সংসদে নির্বাচিত করে আনা যেতে পারে, যেভাবে সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচন করা হয়।’ -প্রিয়দেশ

অ্যাপোলো হাসপাতালের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ মামলা করলেন মেয়র ঝন্টু

চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালের বিরুদ্ধে ৫ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে মামলা ঠুকেছেন রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র শরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু।মামলায় আসামি করা হয়েছে হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. নন্দন কুমার, হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং স্বাস্থ্য সচিবকে।মেয়রের পক্ষে সিনিয়র আইনজীবী আব্দুস সোবহান গত মঙ্গলবার রংপুর যুগ্ম জেলা জজ আদালত-১ এ মামলাটি দায়ের করেন। মেয়রের ব্যক্তিগত সহকারী আদর রহমান বৃহস্পতিবার মামলার বিষয়টি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।উল্লেখ্য, চলতি বছরের ২৮ জুলাই রংপুর থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলা সীমান্ত বাজার এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হন মেয়র ঝন্টু। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়।সেখানে ১৯ দিন চিকিৎসার পর তার ডান হাত ভাঙা রেখেই ১৪ লাখ ৫৪ হাজার টাকা বিল নিয়ে তাকে রিলিজ দেয়া হয়।এ ঘটনায় মেয়র ৫ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ চেয়ে ২৩ অক্টোবর উকিল নোটিশ পাঠান।হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় মেয়র এ মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেন মেয়র ঝন্টুর আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুস সোবহান।

সৌদি আরবে ১৭ বাংলাদেশি আটক

সৌদি আরবে গত তিন দিনের অবৈধ অভিবাসী গ্রেফতার অভিযানে ২৫ হাজারের বেশি প্রবাসী আটক হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত ২১ জনের বেশি বাংলাদেশিও আটক হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সৌদি আরবে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শহীদুল ইসলাম এ তথ্য সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তবে কাগজপত্র দেখে ৪ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানান শহিদুল ইসলাম।এদিকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ৯টায়  সৌদি আরবে কোনো বাংলাদেশি আটক হওয়ার ঘটনা অস্বীকার করা হয়েছে। বলা হয়েছে,  বড় কোনো ঘটনা থাকলে সাধারণত মন্ত্রণালয়কে অবহিত করা হয়। ছোটখাটো কোনো ঘটনা মন্ত্রণালয়কে জানানো হয় না।

গ্রামীণ ব্যাংককে রক্ষা করবে এমন লোককে ক্ষমতায় আনতে হবে: ড. ইউনূস


শান্তিতে নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ও গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, বাংলাদেশে যারা গ্রামীণ ব্যাংক আইনকে আগের অবস্থায় ফিরিয়ে নেয়ার জন্য এগিয়ে আসবে, দেশবাসীকে তাদের পাশে দাঁড়াতে হবে, পরবর্তী নির্বাচনে তাদেরকেই নির্বাচিত করতে হবে। এছাড়া আমাদের সামনে আর কোনো পথ নেই। তাই আমি আবেদন রাখছি, ভবিষ্যতে এমন সরকারকেই ক্ষমতায় আনতে হবে, যাতে এই ব্যাংক রক্ষা করা যায়। গতকাল বৃহস্পতিবার মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে পঞ্চম বিশ্ব সামাজিক ব্যবসা সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন তিনি। গ্রামীণ ব্যাংক আইনের সর্বশেষ সংশোধনীর ফলে ব্যাংকটি ধ্বংসের পর্ব শুরু হলো মন্তব্য করে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে কার্যত গরিবের কাছ থেকে ব্যাংকটি কেড়ে নেয়ার প্রক্রিয়াই শুরু হয়েছে।এরআগে কুয়ালালামপুরের আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দে শুরু হয় তিনদিনব্যাপী 'গ্লোবাল সোশ্যাল বিজনেস সামিট ২০১৩'। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ড. ইউনূস ছাড়াও বক্তব্য দেন বাহরাইনের সামাজিক উন্নয়ন বিষয়ক মন্ত্রী ড. ফাতিমা আল বালুশি, ইউনূস সোশ্যাল বিজনেসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সাসকিয়া ব্রাইস্টেন, মালয়েশিয়া ভিত্তিক ইউথ ট্রাস্ট ফাউন্ডেশন মাই হারাপানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুরফারিনি দাইয়ং, সোশ্যাল বিজনেস সামিটের প্রধান ও গ্রামীণ ক্রিয়েটিভ ল্যাবের প্রধান হানস রেইটজ প্রমুখ। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম শীর্ষ ধনকুবের ভার্জিন গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা রিচার্ড ব্র্যানসন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বক্তব্য দেন।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মূল বক্তব্যে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্বজুড়ে সামাজিক ব্যবসার বিকাশ ঘটানোর মাধ্যমে দুনিয়াকে দারিদ্র্যের অভিশাপ থেকে মুক্ত করার সম্ভাবনার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, অন্যদেরকে সুখী করার মধ্যে রয়েছে প্রকৃত সুখানুভূতি। আর অন্যকে সুখী করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হচ্ছে সামাজিক ব্যবসা। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন দেশ ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান সামাজিক ব্যবসায় উল্লেখযোগ্যভাবে যুক্ত হয়েছে। এরমধ্যে আলবেনিয়া ও হাইতির সরকার দারুণভাবে উদ্যোগী হয়েছে।এবারের সম্মেলনে বিশ্বের অন্তত ৪০টি দেশ থেকে সবমিলিয়ে সাড়ে পাঁচ শতাধিক ডেলিগেট অংশগ্রহণ করছেন। এরমধ্যে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ ৫৫ জন প্রতিনিধি অংশ নিয়েছেন। এরমধ্যে রয়েছেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা রোকেয়া আফজাল রহমান, বিশিষ্ট আইনজীবী ড. শাহদীন মালিক, সিনিয়র সাংবাদিক ও মানবজমিন সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল প্রমুখ।সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আইন সংশোধনের ফলে ৮৫ লাখ মানুষের প্রতিষ্ঠানটি এখন চলবে ব্যক্তি বিশেষের ইচ্ছায়। অথচ গ্রামীণ অধ্যাদেশ তৈরিই করা হয়েছিল এমনভাবে, যাতে প্রতিষ্ঠানটির ওপর কোনো সরকারি হস্তক্ষেপের সুযোগ থাকবে না।

খালেদা জিয়াকে নির্বাচন বয়কট না করার অনুরোধ ইইউ’র

আগামী ‘নির্বাচন বয়কট’ না করতে বিরোধী দলীয় নেতার প্রতি আহবান জানিয়েছে ইউরোপীয়ন ইউনিয়ন (ইইউ)। জবাবে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন, সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি না হলে সে নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না।বৃহস্পতিবার রাতে বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে বৈঠকের ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম হানা এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বলেন, ‘‘বিরোধী দলীয় নেতার প্রতি আমাদের আজকের বার্তা হচ্ছে- নির্বাচন বয়কটকে নিরুৎসাহিত করে সংলাপে বসুন।’’‘‘ একই সঙ্গে তাদেরকে (বিরোধী জোট) নির্বাচনের আগে-পরে রাজনৈতিক সহিংসতা ও হরতালের মতো কর্মসূচি পরিহার করারও অনুরোধ করেছি।’’গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার রাতে পৌনে এক ঘন্টা বৈঠকের পর হানা সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।


বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শমসের মবিন চৌধুরী জানান, ‘‘নির্বাচন বিষয়ে বিরোধী দলীয় নেতা ইইউ রাষ্ট্রদূতদের জানিয়েছেন, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন না হলে সেই নির্বাচনে বিএনপির যাওয়ার যৌক্তিকতা কোথায়? নির্বাচন অবশ্যই মানুষের কাছে গ্রহণযোগ্য হতে হবে।’’
উইলিয়াম হানা’র নেতৃত্বে ৮ সদস্যের প্রতিনিধি দলে যুক্তরাজ্যের হাইকমিশনার রবার্ট গিবসন, জার্মানির রাষ্ট্রদূত আলবার্ট কনিয়ে, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত মিশেল ট্রিনকুইয়ে, স্পেনের রাষ্ট্রদূত তেজাদা চাকোনসহ ডেনমার্ক, সুইডেন,  নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূতগণ।বৈঠকে চলমান সংকট, আগামী নির্বাচন, সহিংস ঘটনাবলী, সংখ্যালঘু পরিস্থিতি, নির্বাচন পর্যবেক্ষক বিষয়ে বিরোধী দলীয় নেতার সঙ্গে রাষ্ট্রদূতরা আলোচনা করেন।বৈঠকে খালেদা জিয়ার সঙ্গে শমসের মবিন চৌধুরী ছাড়াও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা রিয়াজ রহমান ও সাবিহ উদ্দিন আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।বৈঠকের পর উইলিয়াম হানা লিখিত বক্তব্য সাংবাদিকদের পড়ে  শোনান। তবে তিনি  সাংবাদিকদের কোনো প্রশ্নের জবাব দেননি।তিনি জানান, আগামী নির্বাচন ও চলামান সংকট নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ইইউ প্রতিনিধিদলটি সাক্ষাতের সময় চেয়েছে।লিখিত বক্তব্য উইলিয়াম হানা বলেন, ‘‘ আগামী কয়েক সাপ্তাহ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য সংকটময় সময়। আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে, বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত রাখতে সব ধরণের সহযোগিতা করা।’’তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন, আমরা বর্তমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনে দুই বৃহৎ দলের মধ্যে সংলাপ অনুষ্ঠান ও রাজনৈতিক সহিংসতা পরিহারকে গুরুত্ব দিচ্ছি। সংখ্যালঘুদের ওপর নতুনভাবে হামলার ঘটনায় আমরা উদ্বিগ্ন। এর নিন্দা জানাই।’’হানা জানান, ইইউ বাংলাদেশে একটি স্বচ্ছ, গ্রহণযোগ্য ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন দেখতে চায়। এরকম নির্বাচনের মধ্য দিয়ে একটি দীর্ঘ মেয়াদি ফলাফল বেরিয়ে আসবে যা সব রাজনৈতিক দলের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে।

আগামী নির্বাচনে ইইউ পর্যবেক্ষক পাঠানোর প্রস্তুতির কথাও বিরোধী দলীয় নেতাকে জানিয়েছেন ইইউ রাষ্ট্রদূত।হরতালের মতো কর্মসূচি পরিহার করার অনুরোধ রেখে হানা বলেন, “এরকম কর্মসূচি বাংলাদেশের অগ্রগতির পথে অন্তরায় সৃষ্টি করে এবং দেশের মানুষের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ বলে আমরা মনে করি।শমসের মবিন চৌধুরী বলেন, ‘‘বিরোধী দলীয় নেতা ইইউ প্রতিনিধিদের বলেছেন, মহাসচিব পর্যায়ে সংলাপে বসতে বিএনপি প্রস্তুত রয়েছে। আমরা চাই, সবার কাছে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন। বিরোধী দলীয় নেতা সব ধরণের সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছেন।’’‘‘পাবনার সাঁথিয়ায় হিন্দু মন্দিরের হামলায় ঘটনার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি সরকারের একজন মন্ত্রীর সঙ্গে ঘুরে বেড়াচ্ছে। পত্রিকায় প্রকাশিত এ সংক্রান্ত সংবাদের প্রতি রাষ্ট্রদূতদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন বিরোধী দলীয় নেতা।’’হরতাল কর্মসূচি পরিহারের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতদের আহবান সম্পর্কে বিরোধী দলীয় নেতার জবাব কি ছিলো- জানতে চাইলে শমসের মবিন বলেন, ‘‘দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে রাজনৈতিক দল শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি পালন করবে- এটাই সাংবিধানিক অধিকার।’’ইইউ’র এই উদ্যোগের কয়েক মাস আগে আরব দেশগুলোর রাষ্ট্রদূতরা ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত শায়ের মোহাম্মদের নেতৃত্বে বিরোধী দলীয় নেতা খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সব দলের অংশগ্রহণে একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে তাদের অবস্থান জানিয়েছিলেন।

অবশেষে প্রেমিকা পেলেন বিশ্বের সবচেয়ে ভারী মানুষ


তাঁর ওজন ছিল ৯৮০ পাউন্ড। বিশ্বের সবচেয়ে ভারী মানুষ। ওজনের ভারে উঠতে পারতেন না। সেই পলের জীবনে ক'মাস আগে পরিবর্তন আসে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটে বিশেষ একজন পলের জীবন বদলে দেয়। নিজের পরিচয় দিয়ে তিনি বলেছিলেন, তুমি সঙ্গে থাকলে আমি সব ভার বইতে পারব। সেই ৯৮০ পাউন্ডের মানুষ পল ম্যাসনের প্রেম কাহিনি আজ নতুন পথ দেখল।

৬৭২ পাউন্ড ওজন কমিয়ে পল নতুন জীবন পেয়েছেন। সেই পল এক সকালে প্রথমবার দেখা করলেন তাঁর প্রেমিকার সঙ্গে। সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটগুলোতে পলের এই ডেটিংয়ের কথা, ছবি ছড়িয়ে পড়লো। ৫২ বছরের পলের প্রেমিকার নাম রেবেকা মাউন্টেন। রেবেকাকে প্রথমবার মুখোমুখি দেখে কেঁদে ফেলে পল বললেন, থ্যাঙ্ক ইউ আমার পাশে থাকার জন্য। পলের প্রেমিকা রেবেকাও নিজের চোখের জল সামলাতে পারেননি।

রেবেকাই বললেন, প্রতিদিন অন্তত তিন ঘণ্টা করে স্কাইপ-এ তাঁদের কথা হয়। পলের সঙ্গে কথা না বলতে পারলে দিনটা একদম ভাল যেত না। পলের প্রেমের নৌকা এগিয়ে নিতে সাহায্য করে ফেসবুক আর একটা ডকুমেন্টারি। যে ডকুমেন্টারিতে দেখানো হয় স্থুলতা রোগে কতটা অসহায় হয়ে পড়েছেন পল। এখন অবশ্য সব আর কোনও সমস্যা নেই। পলের মত ভাল মানুষ এই পৃথিবীতে খুব কম আছে বলেও রেবেকা বলেন।

এই রকম একটা একটু অন্য ধরনের প্রেমকাহিনি দেখে সবার চোখেই জল। যে মানুষটা ক'মাস আগেও শরীরের ভারে উঠতে পারতেন না, তিনিই আজ প্রেমের রসে কাঁদছেন।

গাড়ীর লাইফ সাপোর্টের জন্য প্রান রক্ষা পেল অনন্ত-বর্ষার


একেবারে অল্পের জন্য রক্ষা যেন! সময়ের সবচেয়ে আলোচিত চলচ্চিত্র তারকাজুটি অনন্ত-বর্ষা গতকাল সকালে দুজনই বের হয়েছিলেন নিজেদের ব্যক্তিগত কাজে। আজ একটি হোটেলে তাদের নতুন চলচ্চিত্রের সাকসেস পার্টিও রয়েছে। তারও একটি খসড়া প্রস্তুতিও রয়েছে। সেই ভাবনাতেই নিজেদের বিএমডব্লিউতে চেপে মোহাম্মদপুরের বাসা থেকে বের হয়েছিলেন। কিন্তু সামনের প্রধান সড়কে আসতেই আরেকটি বেপরোয়া গাড়ি সাথে সংঘর্ষে নতুন বিএমডব্লিউ গাড়িটি দুমড়ে মুচড়ে যাই। গাড়ির ভেতরের লাইফ সাপোর্ট তাদের যেন প্রাণে রক্ষা করে। এ প্রসঙ্গে চিত্রনায়িকা বর্ষা বলেন, 'চোখের নিমিষে যেন মৃত্যুর পাশ দিয়ে বেঁচে এলাম। আল্লাহ তায়ালার অসীম রহমতে বেঁচে গেছি। আর আমাদের গাড়িটি নরমাল গাড়ি হলেও হয়তো প্রাণে বাঁচতাম না। বিএমডব্লিউ বিশেষ লাইফ সাপোর্ট সিস্টেম আমাদের প্রাণে রক্ষা করে। ওপরওয়ালার অশেষ শুকরিয়ায় বেঁচে গেছি।

উল্লেখ্য, আজ এম এ জলিল অনন্ত পরিচালিত 'নিঃস্বার্থ ভালোবাসা' চলচ্চিত্রের রেকর্ড সাফল্য নিয়ে তার এক বিশেষ নৈশভোজের আয়োজন করেছে তারা। সূত্র : ইত্তেফাক

হাটহাজারীতে ব্যবসায়ীর বস্তাবন্ধী গলাকাটা লাশ উদ্ধার

হাটহাজারী উপজেলার দক্ষিণ মাদার্শাস্থ কাটাখালী ব্রীজ এলাকায় মোঃ আমির খসরু (২৭) নামে এক ব্যবসায়ীর বস্তাবন্ধী গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।এসময় তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও (চট্টমেট্রো-হ-১২-৫০৮৪) উদ্ধার করা হয়। সে উপজেলার ফতেয়াবাদ বটতলী এলাকাস্থ হামিদ আলী মাতবর বাড়ীর হাফেজ আবদুস সাত্তারের ছেলে।প্রাথমিকভাবে জায়গার সিন্ডিকেট ব্যবসার বিরোধকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সকালে কাটাখালী ব্রীজের পূর্বে কাটাখালি সড়কের মধ্যবর্তী স্থানের বাঁশ ঝাড়ে রক্তমাখা একটি বস্তা দেখতে পাওয়া যায়।এ সংবাদ অবহিত হয়ে হাটহাজারী থানাধীন মদুনাঘাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ উপ-পরিদর্শক রাশেদুল হক ঘটনাস্থলে গিয়ে বস্তা খুলে লাশটি উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে খসরুর বড়ভাই মনি ঘটনাস্থলে এসে তার লাশ সনাক্ত করে।



মনির জানায়,খসরু রিয়েল এস্টেট ব্যবসার সাথে জড়িত ছিল।গত বুধবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় সে জায়গার নামজারি করতে ঘর থেকে বের হয়ে আর ফেরে নি।রাত ১১ টা থেকে তাকে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ সম্ভব হয়নি। তিনি আরো জানান,‘জায়গার সিন্ডিকেট ব্যবসা ও পারিবারিক জায়গা সম্পত্তির বিরোধকে কেন্দ্র করে আমার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করছি।’তবে তিনি সাংবাদিকদের কাছে হত্যাকান্ডে জড়িত থাকতে পারে এমন কারও নাম উল্লেখ করেন নি।

লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরিকারী এস আই রাশেদুল হক জানান,‘এটি একটি হত্যাকান্ড। খসরুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যাবস্থা গ্রহণ করছি।’

হাটহাজারী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ এ.কে.এম. লিয়াকত আলী জানান, বস্তাবন্ধী একটি গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।ঘটনার রহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ করছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান স্পীকার !

শেষ পর্যন্ত কি জাতীয় সংসদের স্পিকারের নেতৃত্বে সর্বদলীয় সরকার হচ্ছে! গত দুইদিন ধরে এমন একটি ফর্মুলা নিয়ে আওয়ামী লীগ, বিএনপি এবং কূটনীতিকদের মধ্যে আলোচনা চলছে। এক্ষেত্রে মহাজোট থেকে ৫ জন এবং ১৮ দলীয় জোট থেকে ৪ জন ও টেকনোক্র্যাট কোটায় দল নিরপেক্ষ একজনকে মন্ত্রিসভায় রেখে নির্বাচনী সরকার গঠনের ব্যাপারে সমঝোতার চেষ্টা হচ্ছে।টেকনোক্র্যাট কোটায় নিয়োগপ্রাপ্ত ব্যক্তির হাতে স্বরাষ্ট্র এবং সংস্থাপন মন্ত্রণালয় ছেড়ে দেয়ার প্রস্তাব রয়েছে। গত দুইদিন ধরে এক কূটনীতিকের বাসায় এই ফর্মুলা নিয়ে কূটনীতিকরা আলোচনা করেছেন। তারা মনে করেন, এই ফর্মুলায়ই সংবিধান অক্ষুণ্ন রেখে 'সর্বদলীয় এবং নির্দলীয় আমেজ' দিয়ে সরকার গঠন করা সম্ভব হবে।

এদিকে নির্বাচনকালীন সরকারের আয়ুষ্কাল কমে যাচ্ছে। আগামী ২৭ নভেম্বরের আগে নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হচ্ছে না। ফলে ৯০ দিনের নির্বাচনকালীন সরকারের আয়ু এক মাস কমে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২৫ নভেম্বর ওমরাহ পালন শেষে দেশে ফেরার পরই নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে। ইতিমধ্যে মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীরা পদত্যাগ করা শুরু করে দিয়েছেন। সংসদে প্রতিনিধিত্ব নেই এমন দুটি দলের নেতাদের নির্বাচনকালীন সরকারে অন্তর্ভুক্ত করার চিন্তাভাবনা হচ্ছে। এদিকে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের পরই দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। 

২০০৯ সালের ২৫ জানুয়ারি নবম জাতীয় সংসদের প্রথম অধিবেশন বসেছিল। সংবিধানের ১৭২ (৩) অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে, 'রাষ্ট্রপতি পূর্বে ভাঙ্গিয়া না দিয়া থাকিলে প্রথম বৈঠকের তারিখ হইতে পাঁচ বত্সর অতিবাহিত হইলে সংসদ ভাঙ্গিয়া যাইবে।' সেই হিসাবে আগামী ২৪ জানুয়ারি বর্তমান সংসদের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। সংবিধানের ১২৩ (৩) অনুচ্ছেদের (ক) উপ-অনুচ্ছেদে উল্লেখ রয়েছে, 'সংসদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হইবে মেয়াদ অবসানের কারণে সংসদ ভাঙ্গিয়া যাইবার ক্ষেত্রে ভাঙ্গিয়া যাইবার পূর্ববর্তী নব্বই দিনের মধ্যে।' সেই হিসাবে ৯০ দিনের গণনা শুরু হয়েছে গত ২৬ অক্টোবর রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে। সংবিধানে সংসদ বহাল থাকলে সংসদের মেয়াদ শেষের পূর্বের ৯০ দিন সময়কে এবং সংসদ বিলুপ্ত বা ভেঙ্গে গেলে পরবর্তী ৯০ দিন সময়কে নির্বাচনকালীন সময় বলে অভিহিত করা হয়েছে। কিন্তু এই আলোকে কোন আইন ও বিধিমালা তৈরি না হওয়ায় নির্বাচনকালীন সরকারের কার্যক্রম সম্পর্কে স্বচ্ছ কোন ধারণা পাওয়া যাচ্ছে না। এমনকি নির্বাচনকালীন সরকার কবে গঠিত হবে সেই সম্পর্কেও সুস্পষ্ট কোন বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে না। এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী জাফরউল্লাহ বলেন, প্রধানমন্ত্রী পবিত্র হজ্ব পালনের জন্য সৌদি আরবে যাচ্ছেন। আগামী ২৫ নভেম্বর তিনি দেশে ফিরবেন। প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার পরই নির্বাচনকালীন সরকার গঠিত হবে। ধারণা করা হচ্ছে, ২৭ নভেম্বরের আগে এ সরকার গঠিত হচ্ছে না। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে পদত্যাগ করার প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রীরা। বুধবার মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ক্যাপ্টেন (অব.) এবিএম তাজুল ইসলাম পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। রবিবার যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদসহ বেশ কয়েকজন মন্ত্রী পদত্যাগপত্র জমা দেবেন। 

গতকাল বৃহস্পতিবার নগর ভবনে এক অনুষ্ঠানে যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, এই চুক্তি অনুষ্ঠানই হয়ত আমার শেষ চুক্তি অনুষ্ঠান, এর পর হয়ত আর কোনো চুক্তি অনুষ্ঠানে নাও আসতে পারি। আগামী রবিবারের মধ্যে পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেব। পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর মন্ত্রিসভার সদস্যরা সচিবালয়ে অফিস করবেন কিনা-জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'রাষ্ট্রপতি তা গ্রহণ না করা পর্যন্ত কাজ চালাতে কোনো বাধা নেই। মন্ত্রীরা তাদের পদত্যাগপত্র জমা দেবেন, সর্বদলীয় সরকারের যে মন্ত্রিবর্গ থাকবেন, তাদের বাদে ওই পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে চলে যাবে। রাষ্ট্রপতির সম্মতি পর্যন্ত মন্ত্রীরা সচিবালয়ে অফিস করবেন, এটাই স্বাভাবিক।' যদিও সাংবিধানিক পদাধিকারীদের নিয়োগ কার্যকর হয় যেদিন তিনি শপথ গ্রহণ করবেন সেইদিন থেকে এবং পদের অবসান হয় প্রধানমন্ত্রী যেদিন তাকে বরখাস্ত করবেন অথবা তিনি যেদিন প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগ করবেন। এক্ষেত্রে পদত্যাগপত্র ঝুলিয়ে রাখার কোন সুযোগ নেই। যদিও দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপির পদত্যাগপত্র দাখিলের পরেও দীর্ঘদিন ধরে তার পদত্যাগপত্র ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। এ বিষয়ে বিভিন্ন রায়ে উচ্চ আদালতের অনেকগুলো নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু মন্ত্রীদের পদত্যাগপত্র গ্রহণের ক্ষেত্রে উচ্চ আদালতের সেই নির্দেশনা মান্য হচ্ছে না। 

সরকারি দলের নীতিনির্ধারকদের সূত্রে জানা গেছে, বিশ সদস্যের নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠন করা হবে। এদের মধ্য থেকে টেকনোক্র্যাট কোটায় দু'জন অনির্বাচিত ব্যক্তি মন্ত্রিসভার সদস্য হতে পারবেন। নির্বাচনকালীন সরকারকে সর্বদলীয় সরকারে রূপ দেয়ার জন্য সংসদে প্রতিনিধিত্ব নেই এমন দুটি দলের দুজন সিনিয়র নেতাকে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোট সর্বদলীয় সরকারে যোগ না দিলে কেবল এ ধরনের পরিকল্পনা কার্যকর হবে। কিন্তু নেপথ্যে জাতীয় সংসদের স্পিকারের নেতৃত্বে একটি সর্বদলীয় সরকার গঠনের লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও দাতা দেশসূমহের কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনা চলছে। গত মঙ্গলবার এবং বুধবার রাতে এক কূটনীতিকের বাসায় এই ফর্মুলা নিয়ে কূটনীতিকরা দীর্ঘ আলোচনা করেছেন। এ নিয়ে তারা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দুই দলের সিনিয়র কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন। আওয়ামী লীগের নেতারা শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রীর পদে অক্ষুণ্ন রেখে যেকোন সমঝোতায় রাজি। অন্যদিকে বিএনপি নেতারা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, শেখ হাসিনাকে বহাল রেখে কোন সমঝোতা তারা মানবেন না। বিদেশি কূটনীতিকরা মনে করেন, স্পিকারের নেতৃত্বে সর্বদলীয় সরকার গঠন করা হলে সংবিধান অক্ষুণ্ন রেখেই সর্বদলীয় সরকার গঠন করা সম্ভব। এক্ষেত্রে টেকনোক্র্যাট কোটায় দল নিরপেক্ষ একজনকে নেয়া হলে ওই সরকারে নির্দলীয় আমেজও থাকবে। পাশাপাশি ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ দুই দলের মহাসচিব পর্যায়ে সংলাপের প্রস্তাব দিয়েছেন। গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করে তারা এই প্রস্তাব দেন। 

এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতগণ গতকাল এ বিষয়ে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে মত বিনিময় করেন।

তবে সবকিছু নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিরোধী দলীয় নেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ইচ্ছা-অনিচ্ছার উপর। -ইত্তেফাক

স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে হিন্দু বাড়িঘরে হামলাকারীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে: ড. মিজানুর রহমান

পাবনার সাথিয়ায় হিন্দু পল্লীতে হামলাকারীরা স্বরাস্ট্রমন্ত্রীর সাথে চলাফেরা করছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান।

হিন্দু পল্লীতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মন্দিরে ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটের ঘটনা তদন্ত করতে পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রাম পরিদর্শন করে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান পুলিশ বাহিনীকে প্রকৃত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের আহবান জানান।

বৃহস্পতিবার তিনি ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘর, মন্দির, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং ক্ষতিগ্রস্তদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় ক্ষতিগ্রস্ত শত শত হিন্দু নারী-পুরুষ কান্নাজড়িত কণ্ঠে গত শনিবার ঘটে যাওয়া তাণ্ডবের বিস্তারিত বর্ণনা দেন।

তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় ড. মিজানুর রহমান পুলিশ প্রশাসনের ব্যর্থতাকে দায়ী করে ক্ষোভ ও উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, পুলিশ স্বচ্ছ, নিরপেক্ষভাবে কাজ করছে না। ঘটনার ৫ দিন পরেও পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত প্রকৃত অপরাধীদের গ্রেফতার করতে পারেনি-এটা দুঃখজনক, লজ্জার। এর দায় সমাজ, জনগণ ও রাষ্ট্রের নিতে হবে, এড়িয়ে যাওয়ার সুযোগ নেই।

তিনি বলেন, ঘটনা ঘটে সবকিছু শেষ হয়ে যাওয়ার পর কিসের নিরাপত্তা, কিসের সাহায্য ? এই সম্প্রদায়ের মনের ক্ষতি কখনো পুষিয়ে দেওয়া যাবে না। এ সময় জেলা পুলিশের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলে উঠেন ১০ জনকে ধরেছি, সঙ্গে সঙ্গে ড. মিজানুর রহমান তাকে ধমক দিয়ে বলেন, রাখেন আপনার ওসব কথা।

এ সময় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান বুধবার প্রধানমন্ত্রীর প্রতিনিধি দলের তিন মন্ত্রী ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এড. শামসুল হক টুকুর সঙ্গে হামলকারী সন্ত্রাসী ঘুরে বেড়ানোর ছবি পরদিন বৃহস্পতিবার ডেইলি স্টার পত্রিকায় প্রকাশিত কপিটি বের করে সামনে ছুঁড়ে দিয়ে বলেন, দেখেন এই পত্রিকায় কি ছাপা হয়েছে। সাংবাদিকরা প্রকৃত হামলাকারীদের চিহ্নিত করতে পারে, আর আপনারা পারেন না। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে সন্ত্রাসী ঘুরে বেড়ায়, পুলিশ খুঁজে পায় না-এতে ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন ‘যে মন্ত্রী সন্ত্রাসী পোষে সেই মন্ত্রীকে কেন প্রশ্রয় দেবেন। পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা তো মূল আসামিদের মামলায় বাদ দিয়ে রেখেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত বাবুল সাহাকেও শিখিয়ে পড়িয়ে মামলায় আসামি বানিয়েছেন। সব বুঝি আমরা। জনগণের জন্য কাজ করুন। স্থানীয় লোকজনও ড. মিজানুর রহমানকে বলেন, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বুধবার হামলাকারীদের ঘুরতে দেখা গেছে। এ কথা শুনে তিনি বলেন, জাতির জন্য এটা দুর্ভাগ্যজনক। দ্রুত প্রকৃত আসামিদের গ্রেফতার করে বিচারের মুখোমুখি করার জন্য পুলিশকে তিনি নির্দেশ দেন।
ড. মিজান বলেন, নইলে আমি ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য আইনগতভাবে যতদূর লড়তে হয়- লড়ব। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের অনুসন্ধান ও তদন্ত পরিচালক শামীম আহমেদ, সহকারী পরিচালক গাজী সালাউদ্দিন, চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সচিব আরফান আশিফ ।

সুবিধাবাদী ফালুকে খালেদার কঠোর সর্তকবার্তা !

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা মোসাদ্দেক আলী ফালুর ‘সুবিধাবাদীতার রাজনীতি’ নিয়ে এবার খালেদা জিয়াও ‘ক্ষুব্দ’! দলের ‘সংকটময় মুহুর্তে’ আন্দোলন, সংগ্রামে ফালুর উপস্থিতি না থাকা ও মহাজোট সরকারের নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে যোগাযোগ, ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ায় খালেদা জিয়া সম্প্রতি স্থায়ী কমিটির এক বৈঠকে উপস্থিতদের কাছে এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পরে এ বিষয়ে ফালুকে তিনি ‘কঠোর সর্তকবার্তা’ও দেন। এর আগে স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য ফালুর ‘আন্দোলন বিমুখ থাকা, শেয়ার বাজার কেলেংকারি’ ইত্যাদি বিষয়ে খালেদা জিয়ার কাছে অভিযোগ করেন। বিএনপির স্থায়ী কমিটির তিন সদস্য প্রিয় দেশকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

তথ্যমতে, নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে ২০১১ সাল থেকে আন্দোলন করছে বিএনপি। গত ২৫ অক্টোবর সংসদের মেয়াদ শেষ হবে, এমনটি ধরে নিয়ে আন্দোলন জোরদার করে দলটি। এরপর গত ২৭, ২৮, ২৯ অক্টোবর আর ৪, ৫ ও ৬ নভেম্বর হরতাল ডাকা হয়। সবশেষ ছয় দিনের হরতালসহ আগের কোনো আন্দোলন, কর্মসূচিতে বিএনপির নেতাকর্মীরা ফালুকে মাঠে দেখেননি। মহাজোট সরকারের গত পৌনে পাঁচ বছরে ফালুকে রাজপথে দেখা যায়নি। দলের কোনো আন্দোলন, কর্মসূচিতেও অংশ নেননি তিনি। দলের কার্যালয়েও তিনি যান মাঝে মধ্যে। শীর্ষ নেতারা বিষয়টি ফের খালেদা জিয়ার কাছে অভিযোগ আকারে তুলে ধরেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য প্রিয় দেশকে বলেন, ‘আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে আটটায় বিএনপির চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠক হবে। এতে ফালুসহ দলের আন্দোলন বিমুখ নেতাদের বিষয়ে চেয়ারপারসনের সঙ্গে আলোচনা হবে। এছাড়া দলের পরবর্তী কর্মসূচি, সার্বিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য প্রিয় দেশকে বলেন, ‘ফালুর সুবিধাবাদীতার রাজনীতির বিষয়টি নতুন নয়। এটা খালেদা জিয়া জানেন। তিনি তাকে হঠাৎ করে কঠোর সর্তকবার্তা দিয়েছেন, এটা সত্য নয়। ফালুর জন্য দল প্রচুর বদনাম কুঁড়িয়েছে। তাকে বিতর্কিত উপনির্বাচনের মাধ্যমে সংসদ সদস্যও বানানো হয়েছে। এত সবের পর এখনো ফালু দলে প্রভাবশালী। তার ক্ষমতার উৎস সবার জানা।’

বিএনপির নেতাদের অভিযোগ, সাবেক সংসদ সদস্য মোসাদ্দেক আলী ক্ষমতায় থাকতে যতটা সক্রিয় ছিলেন, বিএনপি বিরোধী দলে যাওয়ার পর থেকে তিনি যেন ততটাই নিষ্ক্রিয়। গত চার দলের জোট সরকারের আমলে তাকে এনটিভি, আরটিভির অনুমতি দিয়ে সরকারকে সমালোচনার শিকার হতে হয়। ওই এনটিভি এখন পুরোপুরি ‘আওয়ামী ঘরানার’ চ্যানেল। দলের জন্য কোনো প্রচারণা চালাচ্ছে না এনটিভি। এসব কারণে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের অনেক নেতা থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও ফালুর উপর ক্ষুব্ধ। খালেদা জিয়া হজ্জ পালন করতে গেলে তার পাশে টিভি পর্দায় দেখা যায় ফালুকে। এছাড়া বছরের অন্য সময় তার মুখটাও দেখেন না বিএনপির নেতাকর্মীরা।

বিএনপি রাজনৈতিক ‘বিপদ’, দলটির নেতাকর্মীরা ‘গ্রেফতার, মামলা’ মোকাবিলা করলেও ফালু বেশ বহাল তবিয়তে আছেন মহাজোট সরকারের আমলে। ব্যবসা করে যাচ্ছেন মহাজোটের মন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ও নীতিনির্ধারকদের সঙ্গে। এ সরকারের আমলের আলোচিত শেয়ার বাজার কেলেংকারির ঘটনাতে উঠে আসে ফালুর নাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বিষয়টি নিয়ে এক পর্যায়ে জাতীয় সংসদে বলেন, ‘ফালুকে ধরলেই শেয়ারবাজার কেলেংকারির টাকা পাওয়া যাবে।’

জেএসসির প্রশ্ন ফাঁস!

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেএসসির ইংরেজি প্রথমপত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই প্রশ্ন কয়েকদিন আগেই ফাঁস হয় বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা। বিভিন্ন মূল্যে ওই প্রশ্ন বিক্রি হয়েছে। 

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশালসহ বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে ফাঁস হওয়ার প্রশ্নের কপি বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়। তবে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অস্বীকার করেছে। 

গত ৪ ঠা নভেম্বর জেএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ১৮ দলীয় জোটের ৬০ ঘণ্টা হরতালে পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে ৭ই নভেম্বর করা হয়। এদিকে ৪ঠা নভেম্বরের আগেই বিভিন্ন এলাকায় একশ্রেণীর ব্যবসায়ী প্রশ্নের কথা বলে সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। 

জানা গেছে, সর্বনিম্ন ১০০ থেকে এক হাজার টাকায় প্রশ্নপত্রের ফটোকপি বিক্রি হয়। গতকাল পরীক্ষা নেয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে বিক্রি হওয়া প্রশ্নপত্রের বি সেটের ১নং (সিন), ৩নং (আনসিন), ৪নং (টেবিল), ৭নং (রিএরেইঞ্জ), ৮নং (শুন্যস্থান পূরণ), ১১নংসহ (প্যারাগ্রাফ) অন্যান্য অংশের হুবহু মিল পাওয়া গেছে। 

ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে পরীক্ষা নেয়া প্রশ্নের মিল থাকার কথা স্বীকার করে একটি কেন্দ্রের সচিব জানান, ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে শিক্ষার মান ক্ষুন্ন হবে। এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া উচিত। 

অভিভাবকরা বলেছেন, ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেয়ার চেয়ে না দেয়াই ভালো। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইংরেজি ছাড়াও গণিত, পদার্থ, রসায়ন, হিসাববিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁস হয়ে গেছে। তবে আন্তঃ শিক্ষা বোর্ডের সমন্বয় সাবকমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসলিমা বেগম বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। আমরাও কোন প্রমাণ পাইনি। তবে প্রশ্ন ফাঁসের কোন প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।