Friday

গ্রেফতার আতঙ্কে বিএনপি নেতারা: বাসায় বাসায় অভিযান


বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়া এবং এম কে আনোয়ারকে আটকের খবরে গ্রেফতার আতঙ্কে বিরাজ করছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বদের মধ্যে।দলের শীর্ষ, মধ্যম এবং নিচের সারির নেতারা এরই মধ্যে গা ঢাকা দিয়েছেন। গ্রেফতার এড়াতে প্রায় সবার মোবাইল ফোনই বন্দ করে দিয়েছেন তারা।এদিকে বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় এবং দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয় ঘিরে রেখেছে পুলিশ। সন্দেহভাজনদের তল্লাশি শুরু করেছে। দুটি কার্যালয়েরই আশেপাশে সাদা পোশাকের পুলিশও সতর্ক দৃষ্টি রাখছে। মূলত নির্দলীয় সরকারের দাবিতে ফের ৭২ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচির ঘোষণার পরই এ্যকাশনে যায় পুলিশ।দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস এবং গয়েশ্বর চন্দ্রের বাসায়ও পুলিশ হানা দেয়। তবে তাদেরকে বাসায় না পেয়ে ফিরে যায় পুলিশ। এ খবর দ্রুত নেতাকর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ার পর শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে শুরু করে ঢাকা মহানগর নেতারাও যোগাযোগ সীমিত করে দিয়েছেন। বন্ধ করে দিয়েছেন তাদের একাধিক মোবাইল ফোন।নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় তালা ঝুলিয়ে ভিতরে অবস্থান করছেন কার্যালয় রক্ষনাবেক্ষনে নিয়োজিত কর্মচারীরা। তারাও রয়েছেন চরম আতঙ্কে। একই অবস্থা গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়েওশুক্রবার রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলের সামনে থেকে রাত ৮টা ১০ মিনিটে সাদা পোশাকধারী ডিবি পুলিশ মওদুদ আহমদকে আটক করে। জানা গেছে, সোনারগাঁ হোটেলে প্রথম আলোর একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। অনুষ্ঠান শেষে বের হলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তার শেষে এই নেতাকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।এর কিছুক্ষণ পর বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য এমকে আনোয়ারকে রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের নিজ বাস ভবন থেকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। একইভাবে ব্যারিস্টার রফিকুল ইসলাম মিয়াকেও বাংলামোটরে অবস্থিত নিজ বাসা থেকে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে।এদিকে স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বিএনপি নেতাদের গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে রাতে এক প্রতিক্রিয়ায় সাংবাদিকদের জানিয়েছে, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকলে যে কাউকে গ্রেফতার করতে পারে আইনশৃঙ্খরা বাহিনী।শুক্রবার বিকেলে ১৮ দলীয় জোটের মহাসচিব পর্যায়ের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রোববার থেকে টানা ৩দিনের (৭২ ঘন্টা) হরতাল ডাকেন। এরপর থেকে সন্ধ্যা ৬টার পরই কার্যালয় দুটির আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেয় অতিরিক্ত পুলিশ।