Friday

তিন নেতাকে মুক্তি না দিলে ৭২ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি আরো দীর্ঘায়িত হবে বলে হুমকি দিয়েছে বিএনপি।



শুক্রবার রাত ১০টার দিকে জাতীয় প্রেস ক্লাবে জরুরি সংবাদ সম্মেলন করে দলের যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, “স্বৈরাচারী সরকার একতরফা প্রহসনের নির্বাচন করার জন্য দলের জ্যেষ্ঠ নেতাদের গ্রেপ্তার করেছে। এই মুহূর্তে তাদের মুক্তি দিন। নইলে আমাদের ঘোষিত ৭২ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি আরো জোরদার করা হবে, বৃদ্ধি পাবে।”বিকালে গুলশানে ১৮ দলীয় জোটের বৈঠক শেষে রবি থেকে মঙ্গলবার ৭২ ঘণ্টার হরতাল কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।   এর পরপরই গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ের আশেপাশে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতয়েন করা হয়।রাত সোয়া ৮টার দিকে কারওয়ান বাজারে একটি অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে আটক হন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার ও রফিকুল ইসলাম মিয়া।তদের মিন্টো রোডের গেয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে রাখা হয়েছে বলে পুলিশ কমকর্তারা জানিয়েছেন।তিন নেতা গ্রেপ্তার হওয়ার হওয়ার দুই ঘণ্টার মাথায় সংবাদ সম্মেলন করে রিজভী বলেন, “জ্যেষ্ঠ নেতাদের এভাবে গ্রেপ্তার সরকারের স্বেচ্ছাচারী অপরিনামদর্শী সিদ্ধান্ত। আমরা এর নিন্দা জানাই।”এই তিন নেতাকে গ্রেপ্তারের পাশাপাশি উত্তরায় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য জমিরউদ্দিন সরকারের বাসায়, শাজাহানপুরে মির্জা আব্বাস, পুরান ঢাকায় গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ধানমন্ডিতে ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল মান্নান ও মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক নাসিরউদ্দিন অসীমের বাসায় পুলিশ  ‘হানা’ দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, “সরকার গণবিচ্ছিন্ন হয়ে এখন ৯০ ভাগ জনগনের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। তারা পতনের আগে মরণ কামড় দিচ্ছে।“আমরা স্পষ্টভাষায় বলতে চাই,  জ্যেষ্ঠ নেতাদের এভাবে গ্রেপ্তার করে নির্দলীয় সরকারের আন্দোলনকে স্তব্ধ করা যাবে না।”বিরোধী দলকে দমন করার জন্যই গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয় ও নয়া পল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পুলিশ ‘অবরুদ্ধ’ করে রেখেছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব।রিজভী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী আধিপত্যবাদী শক্তির দোসর ও সেবাদাস হিসেবে কাজ করছেন।’’৭২ ঘণ্টার হরতাল সফল করার জন্য দলের নেতা-কর্মী ও দেশবাসীকে রাস্তায় নেমে আসারও আহবান জানান তিনি।