Thursday

আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ অর্ন্তবর্তী সরকার প্রধান!


অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদকে নির্বাচনকালীন অন্তবর্তী সরকার প্রধানের দায়িত্ব দিয়ে নির্বাচনের আয়োজন করলে তাতে অংশ নেবে বিএনপি। দলটির পক্ষ থেকে নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান হিসেবে ‘দল নিরপেক্ষ’ ব্যক্তিকে দায়িত্ব দেয়ার প্রস্তাব ও দাবি জানানো হয়েছে। বিএনপির নীতিনির্ধারকদের উদ্যোগে ‘দল নিরপেক্ষ’ ব্যক্তিদের তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে। তালিকায় অন্যান্যের মধ্যে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের নাম আছে সবার উপরে। বরেণ্য এ শিক্ষাবিদকে নির্বাচনকালীন সরকার প্রধানের দায়িত্ব দেয়া হলে সব রাজনৈতিক দল মেনে নেবে বলে মনে করছেন বিএনপির নেতারা। বিএনপির একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।বিএনপির একাধিক সূত্র জানায়, নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান হিসেবে বিএনপির করা তালিকায় যাদের নাম আছে, তাদের কথা শীঘ্রই দলটির পক্ষ থেকে সরকারের কাছে প্রস্তাব করা হবে।বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ প্রসঙ্গে জানান, ‘আমাদের বক্তব্য স্পষ্ট, নিরপেক্ষ সরকার প্রধানের অধীনে ছাড়া আমরা নির্বাচনে অংশ নেব না। আলোচনা করে ঠিক করা যায়, কাকে দেয়া যায় নির্বাচনকালীন সরকার প্রধানের দায়িত্ব।’তথ্যমতে, সম্প্রতি এক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও জাতীয় সংসদের প্রধান বিরোধী দল বিএনপির শীর্ষ নেতারা মিলিত হন। বৈঠকে তারা নির্বাচনকালীন সরকার ব্যবস্থা, ওই সরকারের প্রধান কে হবেন, এসব বিষয়ে আলোচনা করেন। বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান হিসেবে অধ্যাপক আবদুল্লাহ আবু সায়ীদের নাম প্রস্তাব করা হয়।

বৈঠকে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাই থাকবেন নির্বাচনকালীন সরকারের প্রধান।’ ঢাকায় নিয়োজিত বিদেশি এক রাষ্ট্রদূতের উদ্যোগে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির শীর্ষ নেতাদের নিয়ে অনানুষ্ঠানিক ওই বৈঠকের আয়োজন হয়।শেখ হাসিনাকে অর্ন্তবর্তী সরকার প্রধান করতে চাচ্ছে আওয়ামী লীগ। এ বিষয়ে বিরোধী দলের দাবিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গঠিত মহাজোট সরকার। আর বিএনপির নেতৃত্বে গঠিত ১৮ দলের জোটও দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে সৃষ্ট রাজনৈতিক সমস্যার সমাধানের জন্য রাষ্ট্রদূতের উদ্যেগে বৈঠকটির আয়োজন হয় বলে জানা যায়।উল্লেখ্য, গত ১৮ অক্টোবর জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনকালীন সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাব দেন। তাতে যোগ দেয়ার জন্য বিএনপির পক্ষ থেকে নামও আহবান করেন তিনি।প্রধানমন্ত্রীর সর্বদলীয় সরকার গঠনের প্রস্তাবের তিনদিনের মাথায় পাল্টা প্রস্তাব তুলে ধরেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা খালেদা জিয়া।বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া প্রস্তাবে বলেন, ‘১৯৯৬ এবং ২০০১ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারে থাকা ২০ উপদেষ্টার মধ্যে থেকে ১০ জনের সমন্বয়ে একটি নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করা যায়। ওই ২০ জন থেকে আওয়ামী লীগ পাঁচ জন এবং বিএনপি পাঁচ জনের নাম প্রস্তাব করবে। সর্বজন গ্রহণযোগ্য একজন ব্যক্তিকে ওই সরকারের প্রধান করা হবে। প্রয়োজনে তাদের এই সংসদে নির্বাচিত করে আনা যেতে পারে, যেভাবে সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচন করা হয়।’ -প্রিয়দেশ