Friday

বিভিন্ন জেলায় সেনাবাহিনী


দেশের বিভিন্ন জেলায় গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন। সামরিক সূত্র বলেছে, নির্বাচন নয়, শীতকালীন মহড়ার অংশ হিসেবে কিছু সেনাসদস্যকে মোতায়েন করা হয়েছে। রাতে আইএসপিআরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সেনাবাহিনী দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শীতকালীন প্রশিক্ষণ মহড়ায় নিয়োজিত রয়েছে।তবে আজ শুক্রবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের বৈঠকে সশস্ত্র বাহিনী মোতায়েনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হবে।নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, নির্বাচনের সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষার জন্য এবার সশস্ত্র বাহিনীর ৫০ হাজার সদস্য মোতায়েন করা হতে পারে। এঁরা ভোট গ্রহণের পরও বেশ কয়েক দিন মাঠে থাকবেন। এ কারণে সশস্ত্র বাহিনীর জন্য নির্বাচন কমিশনের প্রস্তাবিত বাজেটও দ্বিগুণ করা হচ্ছে।জানতে চাইলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিব উদ্দীন আহমেদ গতকাল সাংবাদিকদের বলেন, ‘বাংলাদেশের নির্বাচন এক দিনে সম্পন্ন করা হয়। তাই প্রতিবারের মতো এবারও নির্বাচন পরিচালনায় আমাদের সেনাবাহিনীর সহযোগিতা নিতে হবে। নির্বাচনে সেনাবাহিনী মোতায়েনের বিষয়ে শুক্রবার সিদ্ধান্ত নিয়ে আপনাদের জানানো হবে।’এদিকে গতকাল দুপুর থেকে সাতক্ষীরা, যশোর, বরিশাল, কুষ্টিয়া ফরিদপুর, লক্ষ্মীপুর, মানিকগঞ্জ, চুয়াডাঙ্গা এবং চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড ও পটিয়ায় সেনাসদস্যদের অবস্থান নিতে দেখা গেছে। তবে তাঁরা কোনো টহল দেননি।সাতক্ষীরা থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক জানান, সেনাবাহিনীর একটি দল সাতক্ষীরায় পৌঁছেছে। গতকাল তারা সাতক্ষীরা স্টেডিয়ামে অবস্থান নিয়েছে।ফরিদপুর অফিস জানায়, সেনাবাহিনীর একটি দল গতকাল দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুরের নদী গবেষণা ইনস্টিটিউটে অবস্থান নেয়। এই দলে কর্মকর্তাসহ ১২০ জন সদস্য রয়েছেন। এদিকে গতকাল ফরিদপুরে আর্মড পুলিশকে গাড়িতে অস্ত্র তাক করে ফরিদপুর শহরে টহল দিতে দেখা গেছে।লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি জানান, গতকাল বিকেলে সেনাবাহিনীর একটি দল সেখানে গিয়ে পৌঁছায়। দলটি সদর উপজেলার মান্দারী বাজারের ইউসুফ পাটোয়ারীর মুন্নি ব্রিকসে অবস্থান নিয়েছে।বরিশাল অফিস জানায়, বৃহস্পতিবার রাতে ৮০ সদস্যের একটি সেনাদল বরিশালে পৌঁছায়। মানিকগঞ্জেও সেনাসদস্যরা অবস্থান নিয়েছেন বলে প্রথম আলোর প্রতিনিধি জানিয়েছেন।অবশ্য সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকেরা প্রথম আলোকে বলেন, শীতকালীন অনুশীলনের অংশ হিসেবে এসব স্থানে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। তাঁদের কাউকেই নির্বাচনের জন্য মোতায়েন করা হয়নি।তবে যেসব এলাকায় সহিংস ঘটনা ঘটছে, সেসব এলাকায় সেনাসদস্যরা অবস্থান নেওয়ায় মানুষ মনে করছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সেনা সূত্র জানায়, কিছুদিন আগেই রংপুর ডিভিশনে শীতকালীন মহড়া শুরু হয়েছে। অন্য ডিভিশনের মহড়া শুরু হবে ২২ ডিসেম্বর থেকে। এই মহড়ার আগাম প্রস্তুতির জন্য কয়েকটি স্থানে সেনাসদস্যদের পাঠানো হয়েছে। তবে আজকের বৈঠকে সেনা মোতায়েনের সিদ্ধান্ত হলে এসব সদস্যকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজে লাগানো হবে কি না, সে ব্যাপারে পদস্থ সেনা কর্মকর্তারা কিছু বলতে চাননি।নির্বাচন কমিশন সূত্র জানিয়েছে, আজ বিকেলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সঙ্গে কমিশনের বৈঠকে সশস্ত্র বাহিনী কবে থেকে মোতায়েন হবে, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে। তবে কমিশনের পক্ষ থেকে ২৬ ডিসেম্বর থেকে সেনা মোতায়েনের প্রস্তাব করা হবে। মাঠপর্যায়ে দায়িত্ব পালনের জন্য সশস্ত্র বাহিনীর প্রস্তাবিত বাজেটের অঙ্ক ২৬ কোটি থেকে বাড়িয়ে ৫৪ কোটি টাকা করা হয়েছে।আজকের বৈঠকের জন্য তৈরি করা কার্যপত্রে বলা হয়েছে, প্রতি জেলায় কমবেশি এক ব্যাটালিয়ন (৮০০) করে সশস্ত্র বাহিনীর স্ট্রাইকিং ফোর্স মোতায়েন করা হবে। সেখানে তারা ক্যাম্প স্থাপন করবে। আর প্রতিটি উপজেলা বা থানায় দুই থেকে তিন প্লাটুন (প্রতি প্লাটুনে ৩৫ জন) করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে। নির্বাচনী দায়িত্বে সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে থাকবেন একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। যেসব স্থানে ক্যাম্প স্থাপন করা হবে না, সেখানে ভ্রাম্যমাণ ইউনিট দায়িত্ব পালন করবে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা কোনো ভোটকেন্দ্রের ভেতরে বা ভোটকক্ষে ঢুকবেন না।নির্বাচনে সেনাবাহিনী ছাড়াও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাড়ে পাঁচ লাখ সদস্য মোতায়েন করা হবে। কমিশন সচিবালয় সূত্র জানায়, এবার সশস্ত্র বাহিনী ভোট গ্রহণের পরও বেশ কয়েক দিন মাঠপর্যায়ে অবস্থান করতে পারে। সশস্ত্র বাহিনী ২০০১ সালে ১৫ দিন এবং ২০০৮ সালে ১২ দিন অবস্থান করেছিল।

তামাশার নির্বাচন বন্ধ করুন : খন্দকার মাহমবুব


প্রধানমন্ত্রীর আজ্ঞাবহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দিয়ে গণতন্ত্রের পক্ষের আন্দোলকারীদের ওপর হামলা চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও প্রবীণ আইনজীবী এডভোকেট খন্দকার মাহমবুব হোসেন।শুক্রবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে অলকমিউনিটি ফোরাম আয়োজিত বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট ও বিদেশিদের সম্পৃক্ততা শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন।যেখানে আন্দোলন জোরদার হচ্ছে সেখানকার ডিসি, এসপিকে বদলি করা হচ্ছে অভিযোগ করে প্রধানমন্ত্রীর তিনি বলেন, আর কতোজন অফিসারকে বদল করবেন, গোপালগঞ্জের আর কতো অফিসার রয়েছে, তাদের সংখ্যা দিন দিন কমে আসছে। যে কোনো সময় বিপরীত ধারা দেখা দিতে পারে।সেনাবাহিনীকে বিতর্কিত না করার জন্য নির্বাচন কমিশনকে আহ্বান জানিয়ে খন্দকার মাহবুব বলেন, সেনাবাহিনী দিয়ে আপনাদের পাতানো নির্বাচনের আয়োজন করে যদি ছেলে খেলা শুরু করেন তা হলে দেশের মানুষ তা মেনে নেবে না। এই তামাশার নির্বাচন বন্ধ করুন।১১তম সংসদ নির্বাচনের স্বপ্ন ভুলে যান মন্তব্য করে তিনি বলেন, সংবিধান অনুযায়ী  ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচন করা যায়। সে ব্যাপারে সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করা যায়।নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবি করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক কারণে বিরোধী দলের যে সব নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মুক্তি দিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের আয়োজন করুন। আর তা না হলে খালেদা জিয়া যেদিন মাঠে নামবেন সেদিন বাংলাদেশে আগুন জ্বলবে। তবে আমরা সেটা চাই না।সংগঠনের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশারাফ উদ্দিন বকুলের সভাপতিত্বে এ সময় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মেজর (অব.) রুহুল আলম চৌধুরী, জেড আজম, নির্বাহী কমিটির সদস্য জেবা আহমেদ খান, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কাবিরুল হায়দার চৌধুরী প্রমুখ।

প্রেসক্লাবে কাজী জাফরের কাউন্সিলে বিস্ফোরণ


শুক্রবার বেলা ২টার দিকে কাজী জাফরের সর্থক নেতাকর্মীরা যখন সভার শুরুর প্রস্তুতি নিচ্ছেন, ঠিক তখনই এ ঘটনা ঘটে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পরপর তিনটি হাতবোমা বিস্ফোরিত হলে মিলনায়তনের ভেতরে ধোঁয়ায় আচ্ছন্ন হয়ে যায়। আতঙ্কিত নেতাকর্মীরা ছুটোছুটি শুরু করলে দেখা দেয় বিশৃঙ্খলা।এ সময় মিলনায়তনের বাইরেও একটি হাতবোমা বিস্ফোরিত হয়। এ ঘটনায় অন্তত দুইজন আহত হয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।রমনা পুলিশের উপ কমিশনার মারুফ হোসেন সর্দার বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা বিষয়টি শুনে লোক পাঠিয়েছি। বিস্তারিত বলতে পারছি না।”তবে এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ কাজী জাফর আহমদ বলছেন, “সরকারের সন্ত্রাসীরাই এ ঘটনা ঘটিয়েছে।” 

মন্ত্রীর মাসিক আয় মাত্র ৫ হাজার ৯শ ১৬ টাকা, নগদ কোন টাকা নেই!

সাবেক খাদ্যমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাকের পেশা রাজনীতি। মাসিক আয় মাত্র ৫ হাজার ৯শ ১৬ টাকা, বছরে ৭১ হাজার টাকা। বাড়ি/এপার্টমেন্ট/দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে এ আয় হয় তাঁর। তবে তাঁর স্ত্রী বেসরকারি কলেজের শিক্ষক। তিনি বেতন-ভাতা বাবদ বছরে আয় করেন পাঁচ লাখ ৩৫ হাজার টাকা (২০১২-১৩ অর্থ বছর। এ আয় দেখানো হয়েছে নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়া আব্দুর রাজ্জাকের হলফনামায়।এতে আরও বলা হয়েছে সাবেক খাদ্যমন্ত্রীর কোনো নগদ অর্থ নেই। এমনকি নেই কোনো বৈদেশিক মুদ্রাও। তবে নিজের নামে তিন লাখ টাকা আছে ব্যাংকে। স্ত্রীর নামে আছে মোট ৩৬ লাখ ৯২ হাজার ৯২৬ টাকা। এছাড়া ইউনিভার্সাল পোল্ট্রি হ্যাচারিতে আব্দুর রাজ্জাকের নামে ২০ শতাংশ শেয়ার আছে। গাড়ি আছে দুটি। একটি টয়োটা অন্যটি পাজেরো জিপ। এছাড়া গাজীপুরের টঙ্গীর মুদাফায় একটি পাঁচ কাঠার প্লট আছে স্ত্রী ও তার নামে। এছাড়া ঢাকার গোড়ান, সাভার এলাকায় নিজের ও স্ত্রীর নামে আছে ২৩.১৫ কাঠা জমি। এছাড়া পাঁচ তলা বাড়ির দ্বিতীয় তলায় চারটি ফ্ল্যাট ও পঞ্চম তলায় ১/৪  অংশ ফ্ল্যাট আছে পর্বতায়। এছাড়া স্ত্রীর নামে মোহাম্মদ হাউজিং এস্টেটে ২১৫২ বর্গফুটের ফ্ল্যাট রয়েছে। ২০০০ সালে এটি কেনা। তখন এর মূল্য ছিল ৩৫ লাখ।

গৃহবধুর মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছে স্বামী



নওগাঁর সাপাহারে জাতীয় পরিচয়পত্র ও ভোটার আইডি কার্ড তৈরির জন্য তোলা ছবিতে মাথার চুল বেরিয়ে থাকায় এক গৃহবধুর মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছে স্বামী। তার উপর অমানুষিক নির্যাতন চালানো হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলা সদরের গোডাউন পাড়ায়। এ ঘটনায় নির্যাতনের শিকার গৃহবধু রেশমা খাতুন (২২)  বাদী হয়ে সাপাহার থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাপাহার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহীন রেজা জানান, সাপাহার উপজেলা সদরের গোডাউনপাড়া গ্রামের আনারুল ইসলামের (২৫) সঙ্গে প্রায় ৬ বছর আগে একই উপজেলার ইসলামপুর গ্রামের রেশমা খাতুন (২২) এর  বিয়ে হয়। বর্তমানে তাদের ঘরে দুটি সন্তান রয়েছে। কিছুদিন পূর্বে নতুন ভোটার হওয়ার জন্য সরকারীভাবে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরীর ঘোষণা হয়। রেশমা খাতুন ভোটার হওয়ার জন্য ইউপি কার্যালয়ে এসে নাম নিবন্ধন করে ছবি তোলেন। ওই ছবিতে অসাবধানতা বশতঃ মাথায় পরা স্কার্পের এক পাশ দিয়ে মাথার সামনের দিকের কিছু চুল বেরিয়ে আসে। ছবি তোলার সময় মাথার চুল বেরিয়ে আসার অপরাধে অমানষিক নির্যাতন শুরু হয় রেশমার উপর। নির্যাতনের এক পর্যায়ে স্বামী আনারুল ইসলাম ১০ দিন আগে তার মাথা ন্যাড়া করে দেয়। বিষয়টি জানাজানির ভয়ে গৃহবধু রেশমাকে ঘরে আটকে রাখা হয়। তিন দিন আগে সুযোগ বুঝে অসহায় রেশমা কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে বাপের বাড়িতে আশ্রয় নেন। স্থানীয় ভাবে বিষয়টি আপোষ মিমাংশার চেষ্টার জন্য সদর ইউনিয়ন পরিষদে কয়েক দফা সালিশ হয়। এতে সমাধান না হওয়ায় বুধবার রাতে গৃহবধু রেশমা বাদী হয়ে স্বামী আনারুল ইসলাম, শ্বশুর আসাদুল ইসলামসহ ৪ জনকে আসামী করে সাপাহার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহীন রেজা আরো জানান, আসামীদের গ্রেপ্তারের জোর তৎপরতা চলছে। মামলা দায়েরের পর থেকে রেশমার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা পালিয়ে থাকায় তাদের সঙ্গে সরাসরি কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে মোবাইলে রেশমার শ্বশুরের সাথে সাংবাদিকরা কথা বলতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।

সংবিধান মেনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে বিএনপি : ইনু



জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, বিএনপি জামায়াতের সঙ্গ ছেড়ে, সংবিধান মেনে আলোচনার মাধ্যমে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারবে।‘চলমান রাজনীতি-যুদ্ধাপরাধীর বিচার সম্পূর্ণ করা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে শুক্রবার সকালে বঙ্গবন্ধু একাডেমী আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি বক্তব্য রাখছিলেন।তিনি বলেন, সংবিধানকে সমুন্নত রাখতে আগামী ২৪ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন ফলাফল ঘোষণার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কাজেই বিরোধী দলের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা পেছানোর দাবি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অসাংবিধানিক।হাসানুল হক ইনু বলেন, সংবিধানকে সমুন্নত রাখতে, জনগণের জানমাল রক্ষার্থে সন্ত্রাস ও নাশকতা বন্ধে সরকার বদ্ধপরিকর।হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের ঢাকা মহানগর সভাপতি চিত্ত রঞ্জন দাসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন জাসদের ঢাকা মহানগর সভাপতি মীর আখতার হোসেন, কৃষক লীগের সহ-সভাপতি এম.এ করিম,সাম্যবাদী দলের সম্পাদক হারুন চৌধুরী, প্রজন্ম লীগের সভাপতি এ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান দুর্জয় প্রমুখ।

দেশ ছাড়লেন কেন খিলক্ষেত থানার ওসি ?


রাজধানীর খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ শামীম হোসেন রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছেন। তবে পুলিশের ঊর্ধ্বতন একাধিক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, ওসি শামীম কাউকে কিছু না জানিয়ে সপরিবারে আমেরিকায় পাড়ি জমিয়েছেন। ১৫ ডিসেম্বর দুপুরে সৌদি এয়ারলাইনসের একটি বিমানে করে দেশত্যাগ করেন তিনি। তবে কেন তিনি এভাবে দেশ ছাড়লেন এ নিয়ে খোদ পুলিশ বিভাগেই শুরু হয়েছে কৌতুহল। ছুটি ও অনুমতি ছাড়া খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসেনের গোপনে দেশ ত্যাগের বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় চলছে পুলিশ বিভাগে। এ ঘটনায় বিব্রত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। জানা গেছে চাতুরি করে পেশায় ব্যবসায়ী দেখিয়ে পাসপোর্ট করেছিলেন শামীম। আর ওই পাসপোর্টেই নির্বিঘ্নে দেশত্যাগ করেন তিনি। রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে তার দেশত্যাগ নিয়ে সহকর্মীদের মাঝেও আছে নানা আলোচনা। কেউ বলছেন, দেশের ক্রান্তি সময়ে সুযোগ বুঝে তিনি কেটে পড়েছেন। আবার কেউ বলছেন, খিলক্ষেত এলাকায় দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে তিনি অবৈধভাবে যে অর্থ আয় করেছেন, এর দায় এড়াতেই নিরাপদে দেশ ছেড়েছেন। দায়িত্ব পালনকালে তার বিরুদ্ধে বেশ কিছু অভিযোগ ডিএমপি ও পুলিশ সদর দপ্তরে জমা পড়েছে। এসব অভিযোগে অভিযুক্ত হতে পারেন বলে আগেই কেটে পড়েছেন। দীর্ঘদিন ওসি শামীমের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করা পুলিশের এক সদস্য জানান, প্রায় বছর খানেক আগে থেকেই গোপনে আমেরিকায় পাড়ি জমানোর জন্য পরিকল্পনা আঁটেন শামীম। এজন্য নিজের সরকারি পরিচয় গোপন করে ব্যবসায়ী হিসেবে একটি পাসপোর্ট তৈরি করেন। আমেরিকায় তার আপন বড় ভাই ও এক বোন থাকেন। তাদের সঙ্গে পরামর্শ করে একটি আমন্ত্রণপত্র জোগাড় করেন তিনি। পরে সেই আমন্ত্রণপত্রের ভিত্তিতে স্ত্রী পাপড়ি ও দুই সন্তানকে নিয়ে আমেরিকান দূতাবাসে ভিসার আবেদন করেন। ভিসা পাওয়ার পর থেকেই তিনি কৌশলে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর জন্য সুযোগ খুঁজতে থাকেন। তার বড় মেয়ে ভিকারুননিসা নুন স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে চলতি বছর প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষা দিয়েছে। ছেলে প্রত্যয় মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলে প্রথম শ্রেণীতে পড়তো।খিলক্ষেত থানা পুলিশের একটি সূত্র জানায়, গত ১৩ই ডিসেম্বর সর্বশেষ তিনি থানায় দায়িত্ব পালন করেছেন। এদিন রাত ১২টার দিকে বুকে ব্যথার অজুহাতে তিনি এ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি হবেন বলে থানা থেকে বেরিয়ে যান। এ সময় তার সরকারি মোবাইল ফোনটি পরিদর্শক (তদন্ত) আশরাফ উদ্দীনকে দিয়ে যান। পরদিন তিনি রাজারবাগ পুলিশ লাইনে গিয়ে অসুস্থতা বোধ করার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নেন। পরে ডিএমপি সদর দপ্তরের ডিসি (সদর) বরাবর ২৮ দিনের একটি ‘সিক আবেদন’ (অসুস্থতাজনিত ছুটি) করে চলে যান। পরদিন সকালে তিনি সৌদি এয়ার লাইন্সের একটি ফ্লাইটে যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেন।অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১৯শে আগস্ট ওসি শামীম খিলক্ষেত থানায় বদলি হয়ে আসেন। এর আগে তিনি ফেনীতে ছিলেন। তারও আগে তিনি ডিএমপি, গাজীপুর জেলা ও নারায়ণগঞ্জ জেলায় দায়িত্ব পালন করেন। দায়িত্ব পালনের সময় তিনি বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ আয় করেন। খিলক্ষেত থানায় যোগদানের পর থেকে তার সঙ্গে শীর্ষস্থানীয় দুই আবাসন কোম্পানির মালিকের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এছাড়া খিলক্ষেত থানাধীন এলাকায় গড়ে ওঠা ছোট বড় একাধিক আবাসন কোম্পানির মালিকের সঙ্গে তার ‘সুসম্পর্ক’ ছিল। ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনি এসব আবাসন কোম্পানির হয়ে কাজ করেছেন। তার বিরুদ্ধে বহু নিরীহ মানুষের সম্পত্তি আবাসন কোম্পানির হয়ে দখল করে দেয়ার অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ সদর দপ্তরের অভ্যন্তরীণ অনুসন্ধান বিভাগে এরকম একাধিক অভিযোগ জমা রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, আবাসন কোম্পানির হয়ে সম্পত্তি দখল করে দেয়ার বিনিময়ে তিনি বিপুল অর্থ আয় করেন। ঢাকার পূর্বাচল এলাকায় পাঁচ কাঠার একটি প্লট রয়েছে তার। এছাড়া তিনি ৪৭নং সিদ্ধেশ্বরীর একটি অ্যাপার্টমেন্টের সপ্তম তলায় বিলাসবহুল ফ্ল্যাটে স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে থাকতেন। প্রায় এক কোটি টাকা দিয়ে তিনি ওই ফ্ল্যাটটি কিনেছিলেন।ওসি শামীমের ঘনিষ্ঠ এক পুলিশ সদস্য জানান, তার ঢাকায় আরও কিছু সম্পত্তি ছিল। পরিকল্পনা মোতাবেক এসব সম্পত্তি তিনি বিক্রি করে আমেরিকায় ভাই ও বোনের কাছে অর্থ পাঠিয়ে দিয়েছেন। তবে সিদ্ধেশ্বরীর ফ্ল্যাট, কাফরুলের বাড়ি ও পূর্বাচলের প্লটটি তিনি বিক্রি করেননি। কোন কারণে যদি দেশে ফিরে আসতে হয় এজন্য এসব সম্পত্তি তিনি রেখে দিয়েছেন। তবে ওই সূত্র জানায়, ওসি শামীম দীর্ঘদিন ধরে জমি বেচাকেনা ও দখল সংক্রান্ত ‘কাঁচা পয়সা’ কামিয়েছেন। ডিএমপির এক কর্মকর্তা জানান, সরকারি কোন কর্মকর্তা তার পরিচয় গোপন করে অন্য পরিচয়ে পাসপোর্ট তৈরি করতে পারেন না। এমনকি বিদেশ যেতেও নানা প্রক্রিয়া ও অনুমোদনের প্রয়োজন হয়। যথাযথ প্রক্রিয়া না মেনে ছলচাতুরি করাটা ফৌজদারি অপরাধ। বিভাগীয় মামলার পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি দণ্ডবিধিতেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। ওই কর্মকর্তা বলেন, ওসির দেশত্যাগের গুঞ্জন উঠলে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) থেকে তার সব ধরনের তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।

মোহাম্মদপুরে পুলিশের এএসপির আত্মহত্যা

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে এক সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) গলায় দড়ি দইয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টায় মোহাম্মদপুরের ছয় নম্বর সড়কের ২৫২/১০ মোহাম্মদীয় হাউজিংয়ের চতুর্থ তলার পূর্ব পাশের ফ্ল্যাট থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। রাত দুইটার দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক নজরুল ইসলাম জানান, নিহত ইবনে তৌফিকুল ইসলাম ইমন (২৭) কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার নতুন শহরের নুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি ৩৩ তম বিসিএস পরীক্ষায় সহকারী পুলিশ সুপার পদে নির্বাচিত হয়েছেন। সবশেষ প্রশিক্ষণরত ছিলেন।

ভিকটিমের হাতে ধর্ষক খুন

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার গালুয়া পাকাপোল এলাকায় বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রফিকুল ইসলাম (৪৫) নামে এক ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে একই এলাকার এক গৃহবধূ।নিহত রফিকুল ইসলাম স্থানীয় পাকাপোল বাজারের ব্যবসায়ী।সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ রাতেই লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।রাজাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ নজরুল ইসলাম বলেন, নিহত রফিকুল ইসলাম খুলনায় থাকা এক ব্যক্তির স্ত্রী  ও তার মেয়েকে প্রায়ই উত্যক্ত করে আসছিল।বৃহস্পতিবার রাতে কৌশলে সে ওই বাড়িতে প্রবেশ করে গৃহবধূকে জোরপূর্বক ধর্ষণের চেষ্টা করে। এসময় গৃহবধূ নিজেকে রক্ষা করতে রফিককে ছুরি দিয়ে উপর্যুপরি কুপিয়ে হত্যা করে থানায় খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে |

জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যাচ্ছে না: জি এম কাদের

জাতীয় পার্টি নির্বাচনে যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য জি এম কাদের। নির্বাচনে যাওয়ার ব্যাপারে জাতীয় পার্টির অপর প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদের বক্তব্যকে ভিত্তিহীন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।শুক্রবার সকালে রাজধানীর উত্তরার ৭নং সেক্টরের ৩৩ নং সড়কের নিজ বাসভবসে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।সংবাদ সম্মেলনে জি এম কাদের আরো বলেন, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে অটল আছেন।এ সময় জিএম কাদের জানান, ‘চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে আমি এবং মহাসচিব ছাড়া অন্য কেউ কথা বললে তা দলীয় বক্তব্য বলে গ্রহণযোগ্য হবে না।’তিনি বলেন, ‘দল থেকে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের নির্দেশের পর আমি আবেদন করি। কিন্তু সে আবেদন গ্রহণ করা হয়নি। নির্বাচন কমিশন আবেদন গ্রহণ করুক বা না করুক, তাতে কিছু আসে যায় না। আমি বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতার নির্বাচনে অংশ নিতে রাজি নই।’এরশাদের ভাই বলেন, ‘মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছি। নিজেকে এখন মন্ত্রী মনে করি না। কোনো সুযোগ-সুবিধাও নিচ্ছি না। এমনকি গাড়িতেও কোনো পতাকা উড়াই না।’প্রসঙ্গত, এর আগে বৃহস্পতিবার বিকালে রাজধানীর ফরাশগঞ্জ এলাকার লালকুঠিতে এক নির্বাচনী প্রচারাভিযানে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ বলেছেন, এরশাদের নির্দেশে রওশন এরশাদের নেতৃত্বে নির্বাচনে যাচ্ছে জাতীয় পার্টি।এদিকে দলীয় সূত্র জানিয়েছে, গতকাল পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ রওশন এরশাদের নেতৃত্বে নির্বাচনে যাওয়ার ইঙ্গিত দেয়ার পর এরশাদ হাসপাতাল থেকে জিএম কাদেরকে বিশেষ বার্তা দিয়েছেন। এরশাদের বার্তা পেয়েই কাদের সংবাদ সম্মেলন ডাকেন। এদিকে গত দু’দিন ধরে এরশাদের মোবাইল ফোনেও কারও সঙ্গে যোগাযোগ হচ্ছে না। তার সঙ্গে সাক্ষাতেও কড়াকড়ি আরোপ করা হয়েছে। যারা সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছেন তাদের মোবাইল ফোন রেখে যেতে হচ্ছে। এছাড়া বাসা থেকে খাবার নিয়ে যারা যাচ্ছেন তাদেরকে কড়া নজরে রাখা হয়েছে। 

শাহজালালে ২ কোটি টাকার স্বর্ণের বার উদ্ধার



হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে টেলিভিশনের বক্স থেকে ৪ কেজি ওজনের চারটি স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে বিমানবন্দর কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। উদ্ধারকৃত স্বর্ণের মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা।বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় সিঙ্গাপুর থেকে আসা টাইগার এয়ারওয়েজের একটি বিমানে এক যাত্রীর ফেলে যাওয়া এলইডি টেলিভিশনের বক্সের ভেতর লাগেজের কনভেয়ার বেল্ট থেকে এসব স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।জানা যায়, টাইগার এয়ারওয়েজের (টিআর-২৬৫৬) বিমানে কনভেয়ার বেল্ট দেয়া হয়। এসময় কাস্টমস সদস্যরা কনভেয়ারের ওপর নজরদারি শুরু করেন। এরপর স্যামসাং ৪০ ইঞ্চি এলইডি টিভির বক্স থেকে এক কেজি ওজনের চারটি স্বর্ণের বার পাওয়া যায়। পরে সেগুলো কাস্টমস কাউন্টারে নিয়ে এসে গোয়েন্দা সদস্যদের উপস্থিতিতে খোলা হয়।

হেফাজত সহযোগিতা চাইল সরকার ও বিরোধীদলের

মতিঝিল শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশে সারাদেশ থেকে লোকজন আসতে ১৮ দলকে ২৪ ডিসেম্বরের কর্মসূচি তুলে নেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির ও ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী। একই সঙ্গে তিনি সরকারকে সমাবেশের অনুমতি দিয়ে সহেযোগিতা করারও আহ্বান জানান।শুক্রবার রাজধানীর বারিধারা মাদরাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন, হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, হেফাজত নেতা মাওলানা সাখাওয়াত হোসেন, মাওলানা মনির হোসেন, মাওলানা অলিউল্লাহ আরমান প্রমুখ।মাওলানা নূর হোসাইন কাসেমী বলেন, “আমরা বুধবার চট্রগ্রামে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা আহমদ শফীসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তিনি ২৪ ডিসেম্বরের কর্মসূচি সফল করার নির্দেশ দিয়েছেন। ৩০ নভেম্বর আমরা পুলিশের কাছে সমাবেশের অনুমতির জন্য আবেদন করেছি।”তিনি বলেন,  “হেফাজত ইসলামের ১৩ দফা দাবি ছিল। দেশের যে সরকার থাকুক আমাদের দাবি থাকবে, আন্দোলন চলবে। আমাদের দাবির সঙ্গে এদেশের কোটি কোটি মানুষের সমর্থন আছে। আমাদের স্পষ্ট কথা, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করুন। দেশেকে আর ধ্বংস করবেন না, মানুষকে আর কষ্ট দেবেন না।”  দাবির বিষয়ে কাসেমী বলেন, “আমাদের দাবি সংবিধানসম্মত। হেফাজত অরাজনৈতিক সংগঠন। হেফাজতের ব্যানারে কেউ মনোনয়ন পাবে না, নির্বাচনও করতে পারবে না। অরাজনৈতিক সংগঠন বলে আমরা দেশের অস্থিতিশীল পরিবেশ নিয়ে, দেশের মঙ্গলের জন্য কথা বলতে পারবো না, তা নয়।


আইনি সব সুযোগই পেয়েছিলেন কাদের মোল্লা


যুদ্ধাপরাধী আব্দুল কাদের মোল্লার ফাঁসি নিয়ে পাকিস্তান পার্লামেন্টে নিন্দা প্রস্তাব গ্রহণ এবং তার প্রতিবাদে দেশজুড়ে প্রতিবাদের মধ্যে বৃহস্পতিবার নিজ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই আশা প্রকাশ করেন।অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “আমরা আশা করি, পাকিস্তানে যারা মৌলবাদীদের পক্ষ নিয়েছে, সেখানকার নতুন প্রজন্ম তাদেরকে রুখে দাঁড়াবে।”গত ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নেতা কাদের মোল্লার মৃত্যুদণ্ড কার্যকরের পর জামায়াতে ইসলামী পাকিস্তান রাজপথে নেমে এর প্রতিবাদ জানায়। বিচার প্রক্রিয়া নিয়েও প্রশ্ন তোলে তারা।মাহবুবে আলম বলেন, “যারা আমাদের এই বিচার ব্যবস্থা সম্পর্কে মন্তব্য করেছে। তারা না জেনে মন্তব্য করেছে। আমাদের উচ্চ আদালতের প্রতিটি রায় আন্তর্জাতিক মানের।”“তারা জানেন না, এই মামলাটি ট্রাইব্যুনালে মোট ৯ মাস ১২ দিন ধরে শুনানি হয়, যার মধ্যে ৮৫ কার্যদিবস শুনানির জন্য ধার্য করা হয়। এর মধ্যে ৩০ কার্যদিবস আসামিপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি হতে পারেনি।”“ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর আপিল বিভাগে প্রায় ১ মাস শুনানি হয়েছে। এরপর রায় দেয়া হয়েছে। পরে দণ্ড কার্যকরের প্রাক্কালে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারক দণ্ড কার্যকরের স্থগিত করেন। তাদের দায়ের করা রিভিউ পিটিশন, সেটা শুনানির সুযোগও তাদের দেয়া হয়।”“কাজেই আইনি সব প্রক্রিয়ার সুবিধা এই আসামি পেয়েছে। সব সুবিধা প্রদানের পরই এই দণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। কাজেই এ সম্বন্ধে নানা উচ্চপদে থাকা অবস্থায় যারা নানা রকম বক্তব্য দিচ্ছেন, যেটা আমাদের কাছে সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য,” বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।তিনি বলেন, “আমাদের সংবিধান আইন এবং আইনের অধীনে রুলস সম্পর্কে না জেনে কোনো বক্তব্য দেয়াটা ঠিক না। যারা দিচ্ছেন, তারা আমাদের বিচার বিভাগকে অবমাননা করছেন।“আমাদের বিচার বিভাগ অতি শক্তিশালী, আমাদের বিচার বিভাগের মান বিশ্ব মানের, এটা আমাদের বিচার বিভাগের উপর অযাচিত হস্তক্ষেপের শামিল। এটা আমাদের সার্বভৌমত্বের ওপর হস্তক্ষেপ।”


‘প্রমাণ হয়েছে, কাদের মোল্লা যুদ্ধাপরাধী’মাহবুবে আলম বলেন, পাকিস্তানের সংসদে যে প্রস্তাব করা হয়েছে, সেটা সম্পূর্ণ অন্যায়, অগ্রহণযোগ্য, আন্তর্জাতিক রীতিনীতি ও কূটনৈতিক শিষ্টাচারের লঙ্ঘন।“বাংলাদেশের প্রতি ১৯৭১ সালে পাকিস্তানিদের যে বিরূপ মনোভাব ছিল, যে আগ্রাসী হিংস্র মনোভাব কোনোভাবে এখনো পাল্টায়নি বলে মনে হচ্ছে। তাদের হিংস্রতার বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে তাদের প্রস্তাবে।”“এই প্রস্তাব দিয়ে তারা প্রমাণ করেছে, কাদের মোল্লা তাদের দোসর এবং কাদের মোল্লার আসলেই একজন যুদ্ধাপরাধী।”“অনেকেই বলছে, এই কাদের মোল্লা সেই কসাই কাদের মোল্লা না। বিচারের সময় কাদের মোল্লা ট্রাইব্যুনালে সাক্ষী দিয়েছেন। তিনি নিজে দাবি করেননি যে তিনি কসাই কাদের না।”‘আন্তর্জাতিক ফোরামে যাওয়া সরকারের বিষয়’কাদের মোল্লা ও যুদ্ধাপরাধী ইস্যুতে বাংলাদেশ কোনো আন্তর্জাতিক ফোরামে যাবে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, “এটা সরকারের বিষয়। ইতিমধ্যেই আমাদের প্রধানমন্ত্রী স্পষ্টভাবে, দ্ব্যর্থহীন ভাষায়, জোরালো কণ্ঠে তাদের এই কর্মকাণ্ডের নিন্দা করেছেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রীও এ বিষয়ে বলেছেন। কাজেই সরকার নিশ্চই এ বিষয়টি বিবেচনা করছেন।”“আমরাও এখানে এই দেশের নাগরিক হিসাবে এবং এই দেশের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা হিসাবে তাদের এই প্রস্তাবের নিন্দা করছি,” বলেন তিনি।

Thursday

কুয়াশায় ফেরি পারাপার ব্যাহত

বিআইডব্লিউটিসির কাওড়াকান্দি ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক শাহনেওয়াজ চৌধুরী জানান, পদ্মায় ঘন কুয়াশা দেখা দিলে শুক্রবার ভোর ৪টা থেকে মাওয়া-কাওড়াকান্দি নৌপথে ফেরি চলাচল বন্ধ রাখতে বাধ্য হয় কর্তৃপক্ষ।এই নৌপথের ১৩টি ফেরির মধ্যে ৮টিই এ সময় যানবাহন নিয়ে মাঝনদীতে আটকে থাকে। নদীর দুই তীরে দীর্ঘ হতে থাকে বিভিন্ন স্থান থেকে ছেড়ে আসা দূরপাল্লার যানবাহনের লাইন।শীতের মধ্যে গাড়ির ভেতরে আটকা পড়া যাত্রীদের পড়তে হয় ভোগান্তিতে।কুয়াশা কাটলে প্রায় সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা পর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আবার ফেরি পারাপার শুরু হয়। প্রাণ ফিরে পায় মাওয়া ও কাওড়াকান্দি ঘাট।শাহনেওয়াজ চৌধুরী জানান, বর্তমানে পারাপার স্বাভাবিক আছে। দুই ঘাটে গাড়ির জটও কমে আসছে।

টাঙ্গাইলে বিএনপি নেতাকে গুলি করে হত্যা


নিহত রফিকুল ইসলাম ফারুক (৪৬) জেলা বিএনপির নির্বাহী সদস্য ও দাইন্যা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।টাঙ্গাইল মডেল থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে শহরের আকুর-টাকুরে নিজের বাসা থেকে হাঁটতে বেরিয়ে সন্ত্রাসীদের হামলার শিকার হন ফারুক।“বটতলা বাজারের কাছে পৌঁছালে সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে পালিয়ে যায়। দ্রুত সদর হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।”ফারুক বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে শনিবার টাঙ্গাইলে আধাবেলা হরতাল ডেকেছে জেলা বিএনপি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় পাইলট ট্রেন লাইনচ্যুত

এ কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলপথের দুটি লাইনের একটি বন্ধ থাকলেও অন্যটি দিয়ে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়েছে বলে রেল কর্তৃপক্ষ জানায়।আখাউড়া রেলওয়ে থানার ওসি সাইদুল ইসলাম জানান, দুর্বৃত্তরা রেললাইনের ফিস প্লেট ও নাটবোল্ট খুলে ফেলায় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া পাঘাচং রেল স্টেশনের আউটার সিগনালের কাছে পাইলট ট্রেনটি লাইনচ্যুত হয়।বিরোধী দলের হরতাল-অবরোধে বিভিন্ন স্থানে রেলপথে একের পর এক নাশকতার কারণে যে কোনো ট্রেন যাওয়ার আগে এ ধরনের পাইলট ট্রেন (শুধু ইঞ্জিন) দিয়ে লাইন পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে বলে রেল কর্মকর্তারা জানান।ওসি জানান, লাইনচ্যুত ট্রেনটি সরিয়ে নেয়ার পর অন্য লাইনেও ট্রেন চলাচল শুরু করা সম্ভব হবে।


পাঁচ বছরের জন্যই ৫ জানুয়ারির নির্বাচন: তথ্যমন্ত্রী


জাতিসংঘ মহাসচিবের দূত অস্কার ফান্দান্দেজ-তারানকোর সফরের পর সরকারের সঙ্গে বিরোধী দলের সমঝোতার আলোচনা এই মুহূর্তে স্থগিত রয়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।বৃহস্পতিবার তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী। তবে রাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সমঝোতা হলে ও বিরোধী দল ‘হত্যা’ বন্ধ করলে প্রয়োজনে পরবর্তী সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্বাচন দেয়া হবে।আগামী নির্বাচনের পরপরই ১৯৯৬ সালের মতো খুব কম সময়ের মধ্যে কোনো নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “নির্বাচন কেউ শর্ট টাইমের জন্য করে না, নির্বাচন ৫ বছরের জন্য, ২০১৯ সাল পর্যন্ত।”“ক্ষমতা কুক্ষিগত করতে এ নির্বাচন নয়, সংবিধানকে সমুন্নত করতেই এ নির্বাচন,” বলেন মন্ত্রী।দশম সংসদ নির্বাচনের পর মধ্যবর্তী সময়ে কোনো নির্বাচন হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “নির্বাচন হোক, নতুন সংসদই এসব ঠিক করবে।”আগামীতে কোন অসংবিধানিক সরকার ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সংবিধানকে সমুন্নত রাখতে এবং গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত রাখতেই ৫ জানুয়ারি নির্বাচন করা হচ্ছে।“বহুদলীয় নির্বাচন করার মাধ্যমে গণতন্ত্র নিরাপদ হবে।”বিরোধীদলের সাথে রাজনৈতিক আলোচনার পথ এখনো খোলা আছে মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন,“ষড়যন্ত্র ও সংঘাতের পথ পরিহার করলে এখনো রাজনৈতিক সমঝোতার সুযোগ আছে।”আগামী ৫ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে বিরোধী দলের সাথে সমঝোতা হবে কিনা-সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, “এখন যে সময় এসেছে, এ নির্বাচন নিয়ে আলোচনার আর জায়গা নেই।“তবে সংবিধান সমুন্নত রেখে সমঝোতার জায়গা আছে, আমি রাজনৈতিক সমঝোতার কথা বলছি, সব কিছু নিয়ে আলোচনা হতে পারে, সংসদ নির্বাচন নিয়ে না হলে ভবিষ্যতের জন্য আলোচনা হতে পারে।”জাতিসংঘ দূতের সফরের সময় থেকে সমঝোতার জন্য যে আলোচনা চলছিল তা অব্যাহত আছে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “এই মুহূর্তে তা স্থগিত আছে।“সংবিধানকে সমুন্নত রাখা রাজনৈতিক পবিত্র দায়িত্ব, এ পবিত্র কাজ করতে চাই, বহুদলীয় নির্বাচন সম্পন্ন করার মাধ্যমে গণতন্ত্র নিরাপদ হবে।”বিএনপির সঙ্গে জাতীয় পার্টিও নির্বাচনে না আসার ঘোষণা দিয়েছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “তাদের অনেক প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নেয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে, জাতীয় পার্টির সর্বশেষ অবস্থান আমরা জানি না।”আগামী নির্বাচন নিয়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বিবৃতি দেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “এ বিষয়টি নির্বাচন কমিশনের, নির্বাচন নিয়ে সরকারের বিবৃতি দেয়ার প্রয়োজন নেই।”তিনি বলেন, “দেশি-বিদেশি বন্ধুদের বলব, বিরোধী দল গত আড়াই বছর ধরে কোনো সমঝোতায় আসেনি, সংসদে আসেনি, তাদের কাছে নির্দলীয় সরকারের কোন ফর্মুলা নেই। তারা সংবিধানের বাইরে দেশকে ঠেলে দিয়ে ঘোলা জলে মাছ শিকার করতে চাচ্ছে।“দেশে সাংবিধানিকভাবে নির্বাচন হতে না দেওয়াই তাদের উদ্দেশ্য। তারা মুখে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের কথা বলছেন, কিন্তু বাস্তবে সংলাপ এড়িয়ে যাচ্ছেন। মুখে নির্বাচনের কথা বলছেন কার্যত নির্বাচন হতে না দিয়ে দেশের সাংবিধানিক প্রক্রিয়া ব্যাহত করে দেশকে সংকটের মুখে ফেলে দিচ্ছেন।“মুখে আলোচনার কথা বলে বাস্তবে নাশকতা-জঙ্গীবাদ-সহিংসতাকে উস্কে দিয়ে রাজনৈতিক অন্তর্ঘাতে লিপ্ত হয়েছেন।”যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধে বিরোধী দল হীন চক্রান্ত করছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, “জনগণ দেশবিরোধী সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠভাবে অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে সাংবিধানিক ধারা অক্ষুণ্ন রাখবে।”

বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের স্ত্রী জোহরা তাজউদ্দিন আর নেই



শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৭ মিনিটে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয় বলে তার মেয়ে  সাংসদ সিমিন হোসেন রিমি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানান।১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধু সপরিবারে নিহত হওয়ার পর আহ্বায়ক হিসাবে আওয়ামী লীগের হাল ধরেন জোহরা। সে সময় দলকে সংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ করেন তিনি।প্রবীণ এই আওয়ামী লীগ নেতার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর। গত নভেম্বরে পড়ে গিয়ে তার কোমরের হাড় ভেঙে যায়। এরপর ইউনাইটেড হাসপাতালে কিছুদিন চিকিত্সার পর তাকে দিল্লির নিজন্তা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।সেখানে অস্ত্রোপ্রচারের পর গত ১৭ ডিসেম্বর তাকে আবারো ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়া হয়।হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. মাসরুফা হোসাইন জানান, গত বৃহস্পতিবার শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে জোহরা তাজউদ্দিনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে রাখা হয়।গুলশানের আজাদ মসজিদে জানাজার পর এই আওয়ামী লীগ নেতাকে গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হতে পারে বলে সিমিন হোসেন রিমি জানান।

আরও ৪ দিন বাড়ল অবরোধ


একই দাবিতে চতুর্থ দফা অবরোধের শেষ দিন বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে পঞ্চম দফা একই কর্মসূচির ঘোষণা দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।এই অবরোধ কর্মসূচি শনিবার সকাল থেকে মঙ্গলবার বিকাল পর্যন্ত চলবে। পরদিন বড় দিনের সরকারি ছুটি।নজরুল বলেন, “২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠানের কথা বিবেচনা রেখেই আমরা শনিবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত এই অবরোধ চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিচ্ছি।”বিরোধী দলের অবরোধের মধ্যেও দশম সংসদ নির্বাচনের পথে এগিয়ে চলছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিএনপি না এলেও সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার বিষয়টি যুক্তি হিসেবে তুলে ধরছে তারা।অন্যদিকে নির্বাচন স্থগিত না হলে ৫ জানুয়ারি ভোট গ্রহণের আগে আরো কঠোর কর্মসূচির হুমকি রয়েছে বিরোধী জোটের। অন্যদিকে রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি রয়েছে সরকারের।গুলশান বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে নজরুল বলেন, “সরকার একদিকে পাতানো নির্বাচনের নাটক করছে। অন্যদিকে দেশব্যাপী খুন-হত্যা-গ্রেপ্তার নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে।“এই অবস্থা চলতে দেয়া যায় না। তাই আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ছাড়া আর কোনো বিকল্প নেই।”“দেশের বৃহত্তর স্বার্থে জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে এই অবরোধ কর্মসূচি সফল করবে আমরা বিশ্বাস করি,” বলেন তিনি।সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ২১ ডিসেম্বর জাতীয় টিকা দিবস উপলক্ষে জাতিসংঘ ও স্বাস্থ্য বিভাগের যানবাহন, সংবাদপত্র ও সংবাদপত্রবাহী গাড়ি, লাশবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স অবরোধের আওতামুক্ত থাকবে।গত ২৫ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার পর ১৮ দল তা স্থগিত ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে ২৬ নভেম্বর থেকে চার দফায় রাজপথ-রেলপথ-নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি করে। এতে সহিংসতায় প্রায় একশ জন নিহত হয়েছে।

Wednesday

গরু ছিনতাইয়ের অভিযোগে এমপি প্রার্থী গ্রেপ্তার


দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সিরাজগঞ্জ-৪ উল্লাপাড়া আসনের (জাসদ-ইনু) মনোনীত প্রার্থী জাসদ নেতা কামরুজ্জামান খানকে  গরু ছিনিয়ে নিয়ে জবাই করার অপরাধে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এ সময় পুলিশ হাতে নাতে জবাই করা গরুটির মাংস উদ্ধার করে। পূর্ব বিরোধের জের ধরে বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের কালিগঞ্জ গ্রামে এ ঘটনা ঘটার পরে এলাকাজুড়ে তোলপাড়ের সৃষ্টি হয়েছে।পুলিশ জানায়, উল্লাপাড়া উপজেলার পঞ্চক্রোশী ইউনিয়নের কালিগঞ্জ গ্রামের আব্দুর রশিদের সাথে একটি জমির মালিকানা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে স্থানীয় জাসদ নেতা কামরুজ্জামান খান পান্নার বিবাদ চলছিল। এ নিয়ে একাধিক মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। গত সপ্তাহে একই ঘটনার জের ধরে আব্দুর রশিদের সঙ্গে পান্না ও তার সর্মথকরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে। এরপর বুধবার সকালে কামরুজ্জামান খান পান্না তার লোকজন নিয়ে আব্দুর রশিদের বাড়িতে হামলা চালায়। এক পর্যায়ে তারা আব্দুর রশিদ ও তার ভাই আব্দুর রফিকের দুটি গরু ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এরপর বিকেলে কালিগঞ্জ এলকায় গরু দুটি এনে জবাই করে মাংস ভাগবাটোয়ার করে নেয়ার আয়োজন করে।  এ ঘটনায় আব্দুর রশিদ থানায় মামলা করলে সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটার দিকে পুলিশ জবাই করা গরুর মাংসসহ পান্নাকে গ্রেফতার করে।উল্লাপাড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা তাজুল হুদা এ ঘটনার সত্যতা জানিয়ে বলেছেন, অভিযোগ দায়েরের পরে পুলিশ অভিয়ান চালিয়ে গরুর মাংসসহ তাকে আটক করে। তার বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনেই ব্যবস্থা নেয়া হবে।আটক কামরুজ্জামান খান পান্না বর্তমান জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ-ইনু) উল্লাপাড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সংসদ সদস্য হিসেবে দলীয় প্রার্থী হলেও শেষে  আওয়ামীলীগের সাথে আঁতাতের মাধ্যমে তিনি তার প্রার্থীতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।

টক শো থেকে আয় লাখ টাকা!


প্রধানমন্ত্রীর ভাষাতে "অতিরিক্ত টক" সেই  টেলিভিশনের টক শো থেকেই তার কেবিনেটের দুই মন্ত্রীর আয় লাখ টাকার উপরে। আর সেই টেলিভিশনের টক শো'র আয়ই তাদের আয়ের অন্যতম উত্স বলে বর্ণনা করেছেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি হাসানুল হক ইনু।ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন তাঁর নির্বাচনী হলফনামায় উল্লেখ জানিয়েছেন, ব্যবসা থেকে বার্ষিক ছয় লাখ এবং পত্রিকায় লেখা ও টিভি টক শো বাবদ বার্ষিক আয় এক লাখ ৭৫ হাজার টাকা।আর অন্যদিকে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু তাঁর নির্বাচনী হলফনামায় উল্লেখ করেন, ব্যবসা থেকে বার্ষিক তিনি আট লাখ পাঁচ হাজার ৪৫০, চাকরি থেকে ১৬ লাখ ৫০ হাজার ১৩২ এবং টিভি টক শো থেকে এক লাখ ৮১ হাজার ২০০ টাকা আয় করেন।বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় সব বেসরকারি টিভি চ্যানেলে প্রচারিত টিভি টক শো প্রচারিত হচ্ছে। সমসাময়িক রাজনীতি ও অর্থনীতি নিয়ে এখানে আলোচনা করা হয়। এতে অংশ নেন রাজনীতিবিদ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।

চোখ দান করলেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ


চোখ দান করলেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। বুধবার রাজধানী ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সন্ধানী ভবনের ফলক উন্মোচনকালে তিনি চক্ষুদানের ঘোষণা দেন।এসময় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমার চোখে গ্লুকোমা রোগ আছে। আমি নিশ্চিত নই আমার কর্নিয়া দান করাটা কোন কাজে আসবে কিনা। যদি এতে কোন সহায়তা হয় তাহলে আমি মরণোত্তর চক্ষুদানের কথা ঘোষণা করছি।’সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতি এবং সন্ধানী কেন্দ্রীয় পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ‘সন্ধানী ভবন’ এর ফলক উন্মোচন করেন রাষ্ট্রপতি।রাষ্ট্রপতি সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষকে রক্তদান এবং মরণোত্তর চক্ষুদানের জন্য এগিয়ে আসার আহবান জানান।রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আমি বহুবার স্বেচ্ছায় রক্তদান করেছি। বর্তমানে আমি বয়সের কারণে রক্তদান করতে পারছি না। কিন্তু আমি সবসময় স্বেচ্ছায় রক্তদানের সামাজিক আন্দোলনে সমর্থন দিয়ে যাব।’এ সময় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ২০০১ সালে সন্ধানীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজধানীর নিকেতন এলাকায় দশমিক শূন্য ৫ একর জমি বরাদ্দ দেয়ার কথা স্মরণ করেন।সন্ধানী এ পর্যন্ত ৯ লাখ ব্যাগ রক্ত সংগ্রহ করেছে এবং ৩৬ হাজার ২৭৫ জন মরণোত্তর চক্ষুদানের অঙ্গীকার করেছে জেনে রাষ্ট্রপতি সন্তোষ প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশ জ্বলছে দায় ভারতেরও: হিন্দুস্তান টাইমস


বাংলাদেশ জ্বলছে। এর দায় ভারতেরও। ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে একথা বলেছে। ‘বাংলাদেশ অন বয়েল, ইন্ডিয়া পার্ট অব কোলড্রন’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি লিখেছেন জয়ন্ত জ্যাকব। এ শিরোনামের সরাসরি অর্থ- বাংলাদেশ জ্বলছে। যে কড়াইয়ে জ্বলছে তার একাংশ ভারত। 

এতে বলা হয়, বাংলাদেশে এখন রাজনৈতিক পরিস্থিতি অশান্ত। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ অশান্ত পরিস্থিতি নির্বাচনের চেয়ে বেশি আদর্শগত। এ ঘটনার এক অংশ ভারত। বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা আগামী ৫ই জানুয়ারি। কিন্তু প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে বিবেচনা করা হয় একটি উদার রাজনৈতিক দল হিসেবে। বিএনপিকে দেখা হয় ইসলামপন্থি হিসেবে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের প্রফেসর মুনতাসীর মামুন বলেন, এখন যে ঘটনা ঘটছে তা হলো আদর্শগত লড়াই। বাংলাদেশের রীতিতে এটাই বিদ্যমান। অনেক পর্যবেক্ষক মনে করেন বিএনপি’র রাজনৈতিক ক্ষোভ অনেকাংশে জামায়াতে ইসলামীর সূত্রে। তবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগকে ভারত মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ বিএনপির। ভারতের জন্য হাসিনা সরকার বেশি স্বস্তিকর। যদিও নয়া দিল্লি বলেছে, তারা বাংলাদেশে যে সরকার আসবে তার সঙ্গেই কাজ করবে। তবে রীতি অনুযায়ী শেখ হাসিনার দলকে বন্ধু হিসেবে দেখে ভারত। 

বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট শমসের মুবিন চৌধুরী বলেছেন, তার দল ভারতের সঙ্গে সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করবে। তিনি আরও বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ভারতের সঙ্গে যেটুকু সম্পর্ক উন্নয়ন করেছে তার ভিত্তিতেই তারা কাজ করবেন। ওদিকে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে নয়া দিল্লি। জবাবে বিএনপি বলেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ না করলে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না। বর্তমানের পরিস্থিতি ১৯৯৬ সালের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া। ওই সময় ফেব্রুয়ারি মাসের নির্বাচন বর্জন করে তখনকার বিরোধী দল আওয়ামী লীগ। তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার সৃষ্টি করতে ও পুনঃনির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। ওই নির্বাচনে বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগ। 

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ক্ষমতাসীন দলকে তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগে পদত্যাগ করতে হয়। ১৯৯৫ সালে শেখ হাসিনার দল বিরোধী দলে থেকে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে আন্দোলন করেছে এবার ২০১১ সালে সেই ব্যবস্থাকে উল্টে দিয়েছে। 

বাগেরহাটে বিএনপি নেতা খুন


বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ উপজেলার বহরবুনিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সহ-সভাপতি দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত আফজাল খান মারা গেছেন। বুধবার রাত ১১টার দিকে সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।রাতে স্থানীয় বাজারে দলীয় অবরোধ কর্মসূচী শেষে এশার নামাজ পড়ে ফুলহাতা বাজার থেকে বাড়ী ফেরার পথে স্থানীয় ইউপি মেম্বর ও আওয়ামীলীগ নেতা সরোয়ার হোসেনের বাড়ীর সামনে সন্ত্রাসীরা তাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে এলাকাবাসী মূমূর্ষ অবস্থায় আফজাল খাঁকে উদ্ধার করে বাগেরহাট সদর হাসপাতালে প্রেরন করে। রাত সাড়ে ১১ টার দিকে চিকিসাধীন অবস্থায় তার মুত্যু হয়।নিহত আফজাল মোড়েলগঞ্জের বেতবুনিয়া গ্রামের কাজল খাঁ’র ছেলে । মোড়েলগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজিজুর রহমান হামলার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।