Wednesday

বাংলাদেশ জ্বলছে দায় ভারতেরও: হিন্দুস্তান টাইমস


বাংলাদেশ জ্বলছে। এর দায় ভারতেরও। ভারতের প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য হিন্দুস্তান টাইমস এক প্রতিবেদনে একথা বলেছে। ‘বাংলাদেশ অন বয়েল, ইন্ডিয়া পার্ট অব কোলড্রন’ শীর্ষক প্রতিবেদনটি লিখেছেন জয়ন্ত জ্যাকব। এ শিরোনামের সরাসরি অর্থ- বাংলাদেশ জ্বলছে। যে কড়াইয়ে জ্বলছে তার একাংশ ভারত। 

এতে বলা হয়, বাংলাদেশে এখন রাজনৈতিক পরিস্থিতি অশান্ত। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে এ অশান্ত পরিস্থিতি নির্বাচনের চেয়ে বেশি আদর্শগত। এ ঘটনার এক অংশ ভারত। বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা আগামী ৫ই জানুয়ারি। কিন্তু প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগকে বিবেচনা করা হয় একটি উদার রাজনৈতিক দল হিসেবে। বিএনপিকে দেখা হয় ইসলামপন্থি হিসেবে। 

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের প্রফেসর মুনতাসীর মামুন বলেন, এখন যে ঘটনা ঘটছে তা হলো আদর্শগত লড়াই। বাংলাদেশের রীতিতে এটাই বিদ্যমান। অনেক পর্যবেক্ষক মনে করেন বিএনপি’র রাজনৈতিক ক্ষোভ অনেকাংশে জামায়াতে ইসলামীর সূত্রে। তবে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগকে ভারত মদত দিচ্ছে বলে অভিযোগ বিএনপির। ভারতের জন্য হাসিনা সরকার বেশি স্বস্তিকর। যদিও নয়া দিল্লি বলেছে, তারা বাংলাদেশে যে সরকার আসবে তার সঙ্গেই কাজ করবে। তবে রীতি অনুযায়ী শেখ হাসিনার দলকে বন্ধু হিসেবে দেখে ভারত। 

বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট শমসের মুবিন চৌধুরী বলেছেন, তার দল ভারতের সঙ্গে সুদূরপ্রসারী দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে কাজ করবে। তিনি আরও বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান সরকার ভারতের সঙ্গে যেটুকু সম্পর্ক উন্নয়ন করেছে তার ভিত্তিতেই তারা কাজ করবেন। ওদিকে বাংলাদেশের আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে নয়া দিল্লি। জবাবে বিএনপি বলেছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ না করলে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হবে না। বর্তমানের পরিস্থিতি ১৯৯৬ সালের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। তখন প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বিএনপির নেত্রী খালেদা জিয়া। ওই সময় ফেব্রুয়ারি মাসের নির্বাচন বর্জন করে তখনকার বিরোধী দল আওয়ামী লীগ। তখন তত্ত্বাবধায়ক সরকার সৃষ্টি করতে ও পুনঃনির্বাচন দিতে বাধ্য হয়। ওই নির্বাচনে বিজয়ী হয় আওয়ামী লীগ। 

তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থায় ক্ষমতাসীন দলকে তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার তিন মাস আগে পদত্যাগ করতে হয়। ১৯৯৫ সালে শেখ হাসিনার দল বিরোধী দলে থেকে যে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে আন্দোলন করেছে এবার ২০১১ সালে সেই ব্যবস্থাকে উল্টে দিয়েছে।