Thursday

জেএসসির প্রশ্ন ফাঁস!

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ পাওয়া গেছে। জেএসসির ইংরেজি প্রথমপত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই প্রশ্ন কয়েকদিন আগেই ফাঁস হয় বলে জানিয়েছেন অভিভাবকরা। বিভিন্ন মূল্যে ওই প্রশ্ন বিক্রি হয়েছে। 

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট, ময়মনসিংহ, বরিশালসহ বিভিন্ন এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে ফাঁস হওয়ার প্রশ্নের কপি বিভিন্ন দামে বিক্রি হয়। তবে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অস্বীকার করেছে। 

গত ৪ ঠা নভেম্বর জেএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও ১৮ দলীয় জোটের ৬০ ঘণ্টা হরতালে পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে ৭ই নভেম্বর করা হয়। এদিকে ৪ঠা নভেম্বরের আগেই বিভিন্ন এলাকায় একশ্রেণীর ব্যবসায়ী প্রশ্নের কথা বলে সাধারণ শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেন। 

জানা গেছে, সর্বনিম্ন ১০০ থেকে এক হাজার টাকায় প্রশ্নপত্রের ফটোকপি বিক্রি হয়। গতকাল পরীক্ষা নেয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে বিক্রি হওয়া প্রশ্নপত্রের বি সেটের ১নং (সিন), ৩নং (আনসিন), ৪নং (টেবিল), ৭নং (রিএরেইঞ্জ), ৮নং (শুন্যস্থান পূরণ), ১১নংসহ (প্যারাগ্রাফ) অন্যান্য অংশের হুবহু মিল পাওয়া গেছে। 

ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রের সঙ্গে পরীক্ষা নেয়া প্রশ্নের মিল থাকার কথা স্বীকার করে একটি কেন্দ্রের সচিব জানান, ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেয়া অত্যন্ত দুঃখজনক। এতে শিক্ষার মান ক্ষুন্ন হবে। এর বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া উচিত। 

অভিভাবকরা বলেছেন, ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা দেয়ার চেয়ে না দেয়াই ভালো। সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইংরেজি ছাড়াও গণিত, পদার্থ, রসায়ন, হিসাববিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ের প্রশ্ন ফাঁস হয়ে গেছে। তবে আন্তঃ শিক্ষা বোর্ডের সমন্বয় সাবকমিটির সভাপতি ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক তাসলিমা বেগম বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি। আমরাও কোন প্রমাণ পাইনি। তবে প্রশ্ন ফাঁসের কোন প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।